লালমনিরহাটে প্রেমিক যুগলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রেমিক যুগলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য রাহেলার বাড়ির সামনে তাদের নির্যাতন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রের ছেলে তপনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই এলাকার এক তরুণীর। পরে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। বুধবার রাতে তপনের বাড়িতে আসেন ওই তরুণী। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বুঝতে পেয়ে এলাকাবাসী তাদের আটক করে সিংগীমারী ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য রাহেলা বেগমের বাড়ির সামনের সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: টিকটকে পরিচয়, ‘প্রেমের’ টানে বাড়ি ছাড়েন ২ যুবক
এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা তপনের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। সেই মামলায় তপনকে আটক দেখায় পুলিশ।
বিষয়ে অভিযুক্ত তপন বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের পূর্বে মামলা চলে আসছে। পরিকল্পিতভাবে আমাকে ঘর থেকে বের করে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে।
সিংগীমারী ইউনিয়নের সাবেক নারী সদস্য রাহেলা বেগম বলেন, আমরা তাদের বেঁধে রাখিনি। তরুণীর ভাই তাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এসময় কেরামত চৌকিদার উপস্থিত ছিল। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
সিংগীমারী ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, মেয়ের বাবার ধর্ষণের অভিযোগ দেওয়ায় অভিযুক্ত তপনকে আটক করা হয়েছে। ওই তরুণীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।তবে, তাদের নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই।
রবিউল হাসান/আরএইচ/এমএস