লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা এ্যানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লক্ষ্মীপুরে পুলিশের দুই মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একই মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমানসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ নির্দেশ দেন।

জেলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুই মামলায় ৯ জনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন। একই মামলায় আদালতে অনুপস্থিত থাকায় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহমেদ ফেরদৌস মানিক বলেন, আমাদের তিনজন নেতা অসুস্থ। আমরা তাদের জন্য সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এটি ফরমায়েশি আদেশ ছিল। বিচারকদের বাধ্য করে এসব আদেশ দেওয়া হয়। দেশে আইনের শাসন নেই বলেই এমন ঘটনা ঘটছে।

এদিকে, গ্রেফতারদের কারাগারে নেওয়ার সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এসময় উত্তেজিতরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে গ্রেফতারদের কারাগারে নেয় পুলিশ।

কারাগারে যাওয়া অন্যরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম রাজন, নাদিম মাহমুদ জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকাত সৌরভ বুলেট ও সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়া। বাকিদের নাম জানা যায়নি।

গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও সজিব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় ১৯ জুলাই রাতে চারটি মামলা করা হয়। এরমধ্যে সজিবের মেজো ভাই মো. সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন। মজুপুর এলাকায় কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবনে হামলা ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি নিজেই ৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেছেন।

এছাড়া দায়িত্ব পালনে বাধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৭ জুলাই উচ্চ আদালত পুলিশের দুই মামলায় এ্যানিসহ ১২ জনকে জামিন দেন।

কাজল কায়েস/এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।