পরকীয়া প্রেমিককে হত্যার পর মাটি চাপা, স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ১০:৩০ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয়পুরহাটে লাউ গাছের নিচে মাটি খুঁড়তে গিয়ে নাঈম নামে এক যুবকের হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় হত্যাকারী স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

গ্রেফতাররা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল আলীর ছেলে রেজ্জাকুল ও তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন। তারা পাঁচবিবির ধরঞ্জী গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম জানান, ২২ এপ্রিল ঈদের দিন সন্ধ্যায় পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে নাঈম বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের তিনদিন পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না পেয়ে ২৫ এপ্রিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নাঈমের পরিবার।

আরও পড়ুন: দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মিললো মাথার খুলিসহ হাড়গোড়

এরপর ৯ সেপ্টেম্বর ধরঞ্জী গ্রামের সামছুল ইসলামের বাড়িতে রাজমিস্ত্রিরা নতুন শৌচাগার নির্মাণের জন্য মাটি খনন করতে যায়। এসময় ওই স্থানে লাউ গাছের নিচের মাটি খুঁড়তে গিয়ে দুর্গন্ধ বের হয়। পরে পুলিশ এসে সেখানের মাটি খুঁড়ে একটি প্যান্ট ও মাথার খুলিসহ হাড়ের স্তূপ উদ্ধার করে। যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করে।

এঘটনায় নাঈমের মা ১০ সেপ্টেম্বর বাড়ির মালিকসহ তিনজনের নামে মামলা করেন। সে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবিনার সঙ্গে নাঈমের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সেই পরকীয়া সম্পর্কের জেরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নাঈমকে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দেন আসামিরা।

মামলার পর পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও তদন্তে নামে। অন্যদিকে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫ ও র‌্যাব-১২ যৌথ অভিযান চালিয়ে বগুড়া সদর উপজেলার পীরগাছা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।