তৈমূরের সিদ্ধান্তে একমত নই, আমৃত্যু বিএনপি করতে চাই: খোরশেদ
বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনগুলোতে রাজনীতি করতে চাই। আমরা বিএনপির সঙ্গেই চিরদিন থাকবো। আমৃত্যু বিএনপি করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির দলত্যাগী নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই নাসিক কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের মাসদাইর এলাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৈমূরের সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক উত্থান-পতনের ঘটনা ঘটেছে। আমার ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তার রাগ-ক্ষোভ বিভিন্ন যুক্তিতে তৃণমূল বিএনপিতে দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু আমরা বলতে চাই, তিনি আমার আপন বড় ভাই। তিনি খন্দকার পরিবারসহ আমার বংশের প্রধান নীতিনির্ধারক। তিনি আমাদের একমাত্র ভরসাস্থল। কিন্তু আমরা তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অবিচল থাকবো। বিএনপি ক্ষমতায় আসুক আর না আসুক, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। মৃত্যুর পরে যেন আমার পরিচয় হয় বিএনপির কর্মী খোরশেদ মারা গেছে। আমার ভাইয়ের কারণে বিএনপি যদি আমাকে বহিষ্কার করে, তারপরও ধানের শীষের একজন ভোটার হিসেবে রাজপথে থাকবো।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা আনোয়ার মাহমুদ বকুলের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভূইয়া ও বিএনপি নেতা নুরুল হক চৌধুরী।
বিএনপির সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত নাজমুল হুদার প্রতিষ্ঠিত দল তৃণমূল বিএনপির প্রথম সম্মেলনের দিন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ওই দলে যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব পদ পেয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসআর/এমআরএম