এমপি মনোরঞ্জন

উপমহাদেশে যত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সব রাজনৈতিক কারণে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৩

দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, এ উপমহাদেশে যতগুলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে, সব হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। ধর্মীয় ব্যক্তিরা দাঙ্গাবাজ হয় না। ধর্ম ব্যবসায়ীরা দাঙ্গা সৃষ্টি করেন।

তিনি বলেন, ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি হয়। ধর্মীয় কারণে কোনো সংঘাত সৃষ্টি হয়নি।

শনিবার (৭ অক্টোবর ২০২৩) বিকেলে বীরগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গোধূলী বৃদ্ধাশ্রমে ৩০ শতাংশ জমির ওপর ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একই ছাদের নিচে মসজিদ-মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এমপি মনোরঞ্জন শীল। পরে সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

এমপি মনোরঞ্জন শীল বলেন, এদেশের মানুষ ধর্মীয়ভাবে একে অপরের পরিপূরক। ধর্ম ব্যবসায়ী লোকদের কারণে বারবার ধর্ম কলুষিত হয়। আমরা এখানে কোনো ভেদাভেদ সৃষ্টি করিনি। এ বৃদ্ধাশ্রমে মুসলিম-হিন্দু বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করেন। তারা যেন তাদের নিজ নিজ ধর্ম নিজেদের মতো করে পালন করতে পারেন, সে কারণেই একই ছাদের নিচে মসজিদ-মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সামনাসামনি, পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির থাকলেও বাংলাদেশে কোথাও একই ছাদের নিচে মসজিদ-মন্দির রয়েছে কি না আমার জানা নেই। তবে আমরা শুরু করলাম। এটিই হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি বড় উদাহরণ।

মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোপাল দেব শর্মার সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শাহিনুর ইসলাম, দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিভাত্মানন্দ মহারাজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহী, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. ডিসি রায়, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট দিনাজপুর অফিসের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা আক্তার বৃষ্টি, ওসি আব্দুর রাজ্জাক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আতাউর রহমান বাবু।

উপমহাদেশে যত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে সব রাজনৈতিক কারণে

বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা জোতিন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘আমরা বৃদ্ধ মানুষরা এখানে থাকি। দূরের মসজিদ-মন্দিরে যেতে পারি না। এখানে মসজিদ-মন্দির নির্মাণ হলে নিজেদের মতো করে যে যার ধর্ম পালন করতে পারবো।’

সিদ্দিকুর রহমান নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে। জীবনে অনেক কিছুই দেখেছি, কিন্তু এক ছাদের নিচে মসজিদ-মন্দির রয়েছে তা আমি দেখিনি। এ মসজিদ মন্দিরটি নির্মাণ হলে তা আমি দেখে যেতে পারবো।’

এসময় সুধী সমাবেশে আগতদের বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা ক্যাম্প পরিচালনা করেন ডা. ডিসি রায়।

এমদাদুল হক মিলন/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।