৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ

চুয়াডাঙ্গার সাবেক দুই সিভিল সার্জনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৮:৩৮ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার সাবেক দুই সিভিল সার্জন ও স্টোর কিপারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকার সরকারি ওষুধ ক্রয় ও আত্মসাতের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান বাদী হয়ে মামলা তিনটি করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক স্টোর কিপার হাফিজ বিন ফয়সাল (বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে কর্মরত), সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগম (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ও ডা. মু. ছিদ্দিকুর রহমান (অবসরপ্রাপ্ত)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের অধীনস্থ সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাপ্ত বরাদ্দ এম এস আর সামগ্রী ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সিভিল সার্জন ডা. মু. ছিদ্দিকুর রহমান ও স্টোর কিপার হাফিজ বিন ফয়সাল থাকা অবস্থায় ৪৮ লাখ ৯ হাজার ৪০২ টাকার সেফুরক্সিম, কিটোরোলাক, ক্লোরোহেক্সিডিন সল্যুশন, পভিডিন আয়োডিনসহ অন্য ওষুধ ও মেডিকেল সামগ্রী কেনা হয়। যা রেজিস্ট্রারে তোলা হয়নি।

এরপর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা ও স্টোর কিপার হাফিজ বিন ফয়সাল থাকা অবস্থায় একই প্রক্রিয়ায় একই জাতীয় ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩ টাকার সামগ্রী কেনা হয়। যা রেজিস্ট্রারে তোলা হয়নি। একইভাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে হাফিজ বিন ফয়সাল থাকা অবস্থায় (সেসময় দায়িত্বরত সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুল আলম মৃত থাকায় মামলায় নাম বাদ দেওয়া হয়েছে) ২ কোটি ১৫ লাখ ১২ হাজার ৮৫১ টাকার বিভিন্ন সামগ্রী কেনা হয়। তবুও এসব ক্রয়ের বিস্তারিত রেজিস্ট্রার ভুক্ত হয়নি।

অভিযোগ প্রাপ্তির পর এ ঘটনার তদন্ত শেষে দুদক সত্যতা পায়। পরে অভিযুক্ত সাবেক স্টোর কিপার সাফিজ বিন ফয়সাল, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগম ও ডা. মু. ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।