ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ২ দিনেও হয়নি মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৮:২৯ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান ওরফে রিপন খুন হওয়ার একদিন পর নিহতের বাড়ি ঘুরে গেছেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাসানুজ্জামান। হত্যার সঙ্গে জড়িতরা ছাড় পাবে না বলে শোকাহত পরিবারকে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের মীনগ্রামে হাবিবুরের বাড়িতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।

এক মনোনয়ন প্রত্যাশীর পোস্টার ছেড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে সোমবার ভোরে প্রতিপক্ষের লোকজন রিপনকে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার একদিন পার হলেও থানায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ কাউকে আটকও করেনি।

সোমবার বিকেলেই নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। বাদ আসর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন: পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে অনেক মানুষ ভিড় করে আছে। স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

নিহতের ভাই এহশানুল কবির মিরন বলেন, ভাই খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি ২৬ বছর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ছয় ছেলের মধ্যে তিনজন বিসিএস কর্মকর্তা। একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, একজন ওষুধ কোম্পানির সিনিয়র কর্মকর্তা। তারা সবাই গ্রামের বাইরে থাকেন। ভাই গ্রামে থেকে নিজেদের জমিজমা দেখাশোনার পাশাপাশি রাজনীতি করতেন।



মঙ্গলবার বিকেলে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঠাকুরদাস মন্ডল জানান, এ ঘটনায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। এখনো কোন মামলা বা আটকও হয়নি।

১৪ অক্টোবর মীনগ্রাম বাজারে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নজরুল ইসলাম দুলালের একটি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে কে বা কারা। এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই এবং সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলালের স্থানীয় সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উভয়পক্ষের চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। রোববার সন্ধ্যায় এবং রাতে শৈলকুপা থানায় দুদফা বৈঠকও হয়। কিন্তু অমীমাংসিত থাকে সেই বৈঠক। রাত পৌনে ২টার দিকে তারা উভয়পক্ষ থানা থেকে বেরিয়ে যান।

আটক চারজনকেও থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। থানার বৈঠক থেকে ফেরার পথে রাতে আবাইপুর বাজার পার হলেই প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা রিপন ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে আবাইপুর ইউনিয়নের সদস্য হাবিবুর রহমান রিপন মারা যান।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।