পরিত্যক্ত দোকানে মিললো সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মরদেহ
লক্ষ্মীপুরে একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘরের দরজা ভেঙে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান সুমন ক্বারীর (৪২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি।
নিহত সুমন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আমির হোসেন ডিলারের ছেলে। সংসারে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক হ্যামেল ক্বারীর বড় ভাই।
পুলিশ জানায়, দোকানঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সুমন আর ফেরেনি। মোবাইলফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। শনিবার বিকেলে প্রতিবেশীরা ওই ঘরটিতে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। এসময় তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু ডাকাডাকি করলেও তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন না। এতে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘরটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। এতে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে।
নিহতের স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার ও এক স্বজন জানান, সুমন তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। শহরের লিল্লাহ মসজিদ এলাকায় তার দুটি দোকানঘর রয়েছে। এর একটি তিনি আক্তার আলম নামে একজনকে ভাড়া দেন। আর অন্যটিতে তিনি আড্ডা দিতেন। কয়েক মাস আগে মাদক সেবনকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তিনি জেলও খেটেছেন। তার ধারণা ছিল, আক্তার তাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। এতে তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আক্তারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এদিকে, প্রায় সাত মাস ধরে আক্তার তাকে দোকান ভাড়া দিচ্ছেন না। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়।
তবে এ বিষয়ে চেষ্টা করেও দোকানঘর ভাড়া নেওয়া আক্তারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে তিনি মাদকসেবী ছিলেন। অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
কাজল কায়েস/এমআরআর/জেআইএম