বিএনপি আমাদের মানেই না: ইসি আনিছুর
সবশেষ এপ্রিল মাসে বিএনপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের আমরা চায়ের দাওয়াত দিয়েছি, বলেছিলাম আসেন কথা বলি, কিন্তু তারা আসেনি। বিএনপি আমাদের মানেনই না। তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন না। এরপর আর কিছু বলার থাকে না। আমরাতো তাদের জোর করে আনতে পারবো না। আমরা আমাদের কর্তব্য যেটুকু এরমধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই। এর বাইরে রাজনৈতিক বিষয় আমাদের না। রাজনৈতিক বিষয় রাজনীতিবিদরাই সমাধান করবেন। কীভাবে সমাধান করবেন, সেটা তাদের বিষয়। তাদের মধ্যে আমরা ঢুকবোও না।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্ম হলে এবার ভোট দিতে পারবেন না
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে এখনো কোনো কিছু বলতে পারছি না। তাদের সঙ্গে বসবো কি বসবো না তফসিল ঘোষণার পর সিদ্ধান্ত নেবো। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছি তখন তাদের জানানোর প্রয়োজন হবে। প্রার্থী ভোটের দিন যে কোনো কেন্দ্রেই যেতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার খাতিরে আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়ে যাওয়া উত্তম। এতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিতে পারবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার না আসার মতো কোনো পরিবেশ আমাদের সময়ে এখনো সৃষ্টি হয়নি। প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা যত বেশি ভোটারদের কাছে যাবে ভোট দিতে ভোটাররাও ততবেশি আগ্রহ প্রকাশ করবেন। এরচেয়ে বেশি সহায়তা হয় ডিসি ও এসপি যদি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ডেকে সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন। আর জনগণের কথা আমি কি বলবো। আমাদের কাজ আমরা করছি।
আরও পড়ুন: তফসিল ঘোষণার পরই জানা যাবে জাতীয় পার্টির ‘অবস্থান’
তিনি আরও বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে হিরো আলমের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। নির্বাচন শেষ হওয়ায় প্রায় আধাঘণ্টা আগে ঘটেছে। কিছু অতি উৎসাহী লোক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আসলে তারা ভালোর জন্য কিছু করে না। পণ্ড করার জন্যই করে। এজন্য তৎপরতা বৃদ্ধি করতে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে বলেছি।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, কুমিল্লা নির্বাচন কার্যালয়ের আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে ইসিতে মতানৈক্য
৫ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান লক্ষ্মীপুর সফরে আসেন।
কাজল কায়েস/জেএস/এএসএম