পতাকা বৈঠকের পর আটক বিজিপির ৩ সদস্যকে হস্তান্তর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত থেকে অস্ত্রসহ আটক মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপির) তিন সদস্যকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছে টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ডের ঝিমংখালি বিওপির এলাকা হতে বিজিপির এ তিন সদস্যকে ইঞ্জিনচালিত একটি কাঠের নৌকাসহ আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি, ওয়াকিটকি, মোবাইল সেট পাওয়া যায়।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: বিজিবি-বিজিপি পতাকা বৈঠক, যেসব বিষয় গুরুত্ব পেলো

বিজিবি সূত্র জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ানমারের ৭ বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) তিন সদস্য একটি কাঠের নৌকা করে বাংলাদেশে অভ্যন্তরে চলে আসে। তারা টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন ঝিমংখালি বিওপি হতে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে দায়িত্বরত বিআরএম-১৬ হতে প্রায় ৪০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে শূন্যলাইনের আন্তর্জাতিক সীমারেখার প্রায় ৫০০ গজের ভেতর ঢুকে পড়ে। ঝিমংখালি বিওপির টহলদল স্থানীয় উসমানের ঘেরের পাশের খালের মুখ এলাকা থেকে তাদের আটক করে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি অস্ত্র, তিনটি ম্যাগাজিনে ৪১ রাউন্ড গুলি, একটি টিওইটি (ওয়াকিটকি) সেট ও একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং ব্যক্তিগত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর তাদের টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে আসা হয়।

আরও পড়ুন: সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ২৯ বাংলাদেশি

লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ব্যাটালিয়ন সদরে আনার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা অকপটে স্বীকার করেছে পথ ভুল করেই শূন্য রেখা অতিক্রম করে ফেলেছে। এ জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। পরে মিয়ানমারের ৭ বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফ ট্রানজিট ঘাট দিয়ে বিজিপির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সায়ীদ আলমগীর/জেএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।