কিশোরগঞ্জ

৬৬ মামলায় আসামি বিএনপির ১০ হাজার নেতাকর্মী, গ্রেফতার ২৩১

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:১২ এএম, ০৬ নভেম্বর ২০২৩

কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় ৬৬ মামলায় আসামি বিএনপির ১০ হাজার নেতাকর্মী। এরই মধ্যে এসব মামলায় জেলা বিএনপি সভাপতি মো. শরীফুল আলমসহ গ্রেফতার হয়েছে ২৩১ নেতাকর্মী।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলার নতুন পুরাতন মিলিয়ে বর্তমানে ৬৬ মামলা রয়েছে। এ মামলায় প্রায় ৬০০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমসহ ২৩১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন

তিনি আরও বলেন, পুলিশ যেখানে যাকে পাচ্ছে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বাসা-বাড়িতে গ্রেফতার অভিযানের নামে পরিবারের লোকজনকে হয়রানি করছে। অবিলম্বে এগুলো বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জেলার ভৈরব থানায় ১৩ মামলায় গ্রেফতার ২২ জন। কুলিয়ারচর থানায় ১৯ মামলায় গ্রেফতার ছয়জন। বাজিতপুর থানায় তিন মামলায় গ্রেফতার ৩০ জন। নিকলী থানায় দুই মামলায় গ্রেফতার ২০ জন। অষ্টগ্রাম থানায় এক মামলায় গ্রেফতার নেই। মিঠামইন থানায় দুই মামলায় গ্রেফতার একজন। ইটনা থানায় এক মামলায় গ্রেফতার একজন। তাড়াইল থানায় তিন মামলায় গ্রেফতার ১৫। করিমগঞ্জ থানায় এক মামলায় গ্রেফতার ২৪ জন। পাকুন্দিয়া থানায় ছয় মামলায় গ্রেফতার ৩৯ জন। কটিয়াদী থানায় এক মামলায় গ্রেফতার আটজন। সদর থানায় ১১ মামলায় গ্রেফতার ৩৮ জন। হোসেনপুর থানায় তিন মামলায় গ্রেফতার ২৭ জন।

আরও পড়ুন: সকাল ৯টার ট্রেন কক্সবাজারে পৌঁছায়নি সন্ধ্যা সোয়া ৬টায়ও

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) প্রথম দফার অবরোধের প্রথম দিনের সকালে জেলার কুলিয়ারচরের ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ চলাকালে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে ছয়সূতী ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৩২) ও ছাত্রদলের সহসভাপতি রেফায়েত উল্লাহ (২০) মারা যান। এ ঘটনায় ১৬ পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। এছাড়াও ওই সকালে জেলার ভৈরবে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। টিয়ারশেলের ধোয়ায় আহত আশিক মিয়া নামে এক চা বিক্রেতা রাতে ভাগলপুরের জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিএনপির দাবি চা বিক্রেতা আশিক মিয়া ভৈরব পৌর বিএনপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

এসকে রাসেল/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।