প্রাণ-আরএফএলের মালামালসহ উধাও দুই কাভার্ডভ্যান উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২৩

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল-এর কোটি টাকার অ্যালুমিনিয়াম ইনগট নিয়ে পালিয়ে যাওয়া দুটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় জড়িত আবু ইউসুফ ওরফে হৃদয় (২৩), আমির হোসেন (২৩) ও বাবুল হোসেন (৫০) নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মালামাল উদ্ধার ও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির বৈদ্যুতিক মালামাল তৈরির কাঁচামাল (অ্যালুমিনিয়াম ইনগট) আমদানি করা হয়। মালামাল নিয়ে ৩০ অক্টোবর রাতে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কারখানায় পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে কোম্পানির নিজস্ব দুটি কাভার্ডভ্যান। পরদিন মালামাল নিয়ে হবিগঞ্জে পৌঁছানোর কথা থাকলেও কাভার্ডভ্যান দুটি যায়নি। এ অবস্থায় ১ নভেম্বর রাতে কোম্পানির নিজস্ব কাভার্ডভ্যানগুলোতে সংযোজন থাকা জিপিএস ট্র্যাক করে দেখা যায়, কাভার্ডভ্যান দুটি মেঘনা নদীর সেতু অতিক্রম করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের দিকে যাচ্ছে। পরবর্তীসময়ে একাধিকবার ট্র্যাকিং করলে কাভার্ডভ্যান দুটি আশুগঞ্জে অবস্থান দেখায়।

আরও পড়ুন: কোটি টাকার মালামাল নিয়ে দুই কাভার্ডভ্যানসহ চালক উধাও

পরে সকালে পুনরায় ট্র্যাকিং করলে কাভার্ডভ্যানের জিপিএস এবং চালক-হেলপারের ফোন বন্ধ দেখায়। এ অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও এক কোটি চার লাখ টাকার আমদানি করা কাঁচামালসহ কাভার্ডভ্যান দুটির সন্ধান মেলেনি।

jagonews24

এ ঘটনায় গত ৩ নভেম্বর প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত লিগ্যাল অফিসার জুলফিকার হোসেন খান বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন মাগুরা সদরের বুজরুক শ্রীকুন্ডি গ্রামের ওয়াহিদুল মোল্লার ছেলে কাভার্ডভ্যানচালক ইয়াছিন হোসেন (৩৩), একই এলাকার আবছার মোল্লার ছেলে হেলপার জিসান হোসেন (২৫), আনছার বিশ্বাসের ছেলে মিরাজ মিয়া (৩৯), অহিদুল মোল্লার ছেলে হেলপার মো. হৃদয় (১৯) এবং একই জেলার মহম্মদপুর থানার বিনোদপুর গ্রামের আবুল মোল্লার ছেলে কাভার্ডভ্যানচালক মো. তুহিন (৩৫)।

মালামাল উদ্ধার ও তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমদ।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় মামলার পর তদন্তে নামে পুলিশ। দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের প্রথমদিকে দুই চালকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের বক্তব্য এবং তদন্তের ওপর ভিত্তি করে অভিযান অব্যাহত রাখে পুলিশ। পরে অভিযানে আশুগঞ্জের সোনারামপুর ও কুমিল্লা থেকে দুটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া এক কোটি ৪ লাখ টাকার অ্যালুমিনিয়াম ইনগটের মধ্যে ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার ইনগটসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওসি নাহিদ আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, বাকি মালামালসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।