যুবলীগ নেতা হত্যা
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে (৩৮) হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের ছাইতানতলা বাজারে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
প্রথমে সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আরেকটি মিছিল বের করেন।
বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলেন, যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: হাত-পায়ের রগ কেটে যুবলীগ নেতাকে খুন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু, সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী মোস্তফা মাসুম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান লিটু, ছাত্রলীগ নেতা রতন মিয়াসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এদিকে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উপজেলাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় আটক ৪
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় এখন বলা যাচ্ছে না। হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল এবং কবির মিয়া মোটরসাইকেলে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ এলাকায় এলে সাত-আটজন তাদের গতিরোধ করে হামলা চালায়।
এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। এরমধ্যে জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর রক্তক্ষরণে জাহিদুল মারা যান।
নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।
শামীম সরকার শাহীন/এসজে/এএসএম