কক্সবাজারে তুচ্ছ ঘটনায় যুবককে গুলি করে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

কক্সবাজারের মহেশখালীতে গুলি করে সোহেল নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহসান নামের এক যুবক বুকে বন্দুক লাগিয়ে তাকে গুলি করেন বলে অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মগরিয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের বরাতে এতথ্য জানিয়েছেন মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী।

নিহত মুহাম্মদ সোহেল (২৫) বড় মহেশখালী মগরিয়াকাটা আমতলী গ্রামের মুহাম্মদ ওসমানের ছেলে। তিনি পেশায় জেলে ছিলেন।

এলাকাবাসী জানান, বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ভারত-নিউজিল্যান্ড খেলা চলাকালীন আমতলী দোকানে পানির গ্লাস নেওয়াকে কেন্দ্র করে সোহেলের সঙ্গে আহসানের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে যে যার মতো বাড়ি চলে যান। ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে সকালে প্রতিশোধ নিতে আসেন আহসান ও তার লোকজন। পরে সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় সোহেলকে বাঁচাতে এলে আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হন।

তবে অভিযুক্ত আহসানের পরিবার থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, বুধবার রাতে বড় মহেশখালীর আমতলীর মতিউর রহমানের দোকানে ক্রিকেট খেলা দেখছিলেন আহসানসহ কয়েক যুবক। একসময় পানীয় চান স্থানীয় মোবারক ও আহসান। এসময় দোকানদার পানির বোতলে থুতু দিলে তিনজনের কথা-কাটাকাটি হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোবারক বাজারে যাওয়ার সময় তাকে দোকানদার মতিউর ও তার স্বজনরা মারধর করেন। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে স্থানীয় সোহেল গুরুতর আহত হয়ে মারা যান।

আমতলীর দোকানদার মতিউর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করতে আহসানের ভাইয়েরা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপাচ্ছেন। এরআগেও কক্সবাজারে আহসানের ভাইয়েরা অন্যের সম্পদ হাতাতে এভাবে পল্টি মারার অনেক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, যা সবার জানা।”

মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। কাছ থেকেই তাকে গুলি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।