বোন লিপির বিপক্ষে লড়তে মনোনয়ন জমা দিলেন ভাই শাফায়াতুল
আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট বোন বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন তাদেরই ভাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর (অব.) শাফায়াতুল ইসলাম। যদিও তার বড় ছেলে সৈয়দ নাফিস নজরুল রাইয়ানও একই আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন, তবে তিনি বাবারটা দাখিল করেছেন।
এ ছাড়া একই আসন থেকে সংসদ সদস্য লিপির চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলামের বড় ছেলে সৈয়দ নাফিস নজরুল রাইয়ান বাবার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু তার নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এর আগে বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
মেজর (অব.) সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বড় ছেলে সৈয়দ নাফিস নজরুল রাইয়ান মনোনয়ন কিনলেও তার দাখিল করেনি।
বুধবার রাতে জাগো নিউজে ‘সৈয়দ আশরাফের বোনকে হারাতে মরিয়া ভাই-ভাতিজা ’ এ শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশিত হলে জেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি তারই ভাই মেজর (অব.) শাফায়াতুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বোন লিপি। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র হতে সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম ও তার বড় ছেলে সৈয়দ নাফিস নজরুল রাইয়ান মনোনয়নপত্র কিনে ছিলেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর-হোসেনপুর আসন থেকে ১০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন- সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), সৈয়দ নাফিস নজরুল রাইয়ান (স্বতন্ত্র), অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন (গণতন্ত্রী পার্টি), ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি (আওয়ামী লীগ), ডা. মো. মো. আব্দুল হাই (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু (স্বতন্ত্র), আনোয়ারুল কিবরিয়া (স্বতন্ত্র), মোবারক হোসেন (স্বতন্ত্র), শরীফ আহমদ সাদী (স্বতন্ত্র) ও মো. নাসির উদ্দিন (জাকের পার্টি)।
এ আসন থেকে টানা পাঁচবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি তার মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য হলে সেখানে উপ-নির্বাচনে ছোট বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এসকে রাসেল/এসজে/জিকেএস