মধ্যরাতে প্রার্থীকে থানায় নিয়ে গেলো পুলিশ, পৌনে ২ ঘণ্টা পর মুক্তি
দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ ওরফে কাঞ্চনকে থানায় নিয়ে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আবার তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের বড়বন্দর এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে পুলিশ একটি গাড়িতে করে বিশ্বজিৎ ঘোষকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। পরে রাত সোয়া ২টার দিকে তাকে আবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর বিশ্বজিৎ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলীয়প্রধান (শেখ হাসিনা) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো বাধা রাখেননি। আমার জনপ্রিয়তায় কেউ ঈর্ষান্বিত হতে পারে। মনোনয়ন ফরম কেনা থেকে জমা দেওয়া পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু দিনাজপুরের সাধারণ মানুষের ভালোবাসাকে আমি উপেক্ষা করতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের যাত্রায় সহযাত্রী হয়ে দিনাজপুরের অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’
বুধবার রাতে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘সাংবাদিকরা বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ রাখেন। কেন পুলিশ আমাকে তুলে নিয়ে গেলো, এ প্রশ্নের উত্তর আপনারাই খুঁজে বের করেন।’
পরে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কোনোরকম অভিযোগে মনোযোগ না এনে সেদিনকার ঘটনা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার স্বার্থে আমি ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এখন কোনো সমস্যা নেই বলে মনে করছি। আমি মনে করছি, ভবিষ্যতে নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত আর কোনো সমস্যা হবে না এ আশা রাখছি।’
এ বিষয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, ‘কুশল বিনিময়ের জন্য তাকে (বিশ্বজিৎ ঘোষ) ডাকা হয়েছিল। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য তার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অন্য কোনো কারণ নেই।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৩ আসনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জুন মাসে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দুই ছাত্রলীগ কর্মী জাকারিয়া ও মাহামুদুল হাসান মিল্টনকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্তি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চনকে।
এমদাদুল হক মিলন/এসআর/এএসএম