দিনাজপুরে মূলার কেজি পাঁচ টাকা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৭:০৪ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

দিনাজপুরে ৮০ টাকা কেজির মূলা খুচরা বাজারে বর্তমানে ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকা কেজি। দাম কমে যাওয়ায় ‘ভিআইপি’ কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানেও তুলছেন না মূলা। আর গ্রামের মানুষ গরু-ছাগলকে খাওয়াচ্ছেন সেই মূলা।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় সবজি বাজার বাহাদুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, মূলার ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রতি কেজি মূলা বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকা কেজি দরে।

বাহাদুর বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুল্লাহর গ্রামের বাড়ি কাহরোল উপজেলায়। তিনি শহরের রামনগরে বসবাস করেন। তিনি বলেন, শহরে মূলার কেজি ৫ টাকা হলেও তার গ্রামে কৃষকরা বিক্রি করছেন ২ থেকে ৩ টাকা কেজি। অনেকে মূলা গরু ছাগলকে খাওয়াচ্ছেন।

বাহাদুর বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহজাহান সরদার বলেন, বাছাই করা মূলা বিক্রি হচ্ছে দেড় কেজি ১০ টাকা, আর এমনি মূলা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা কেজি। সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কম। তবুও ক্রেতা নেই। অথচ এই মূলা এই বাজারে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি।

বাহাদুর বাজারে বাজার করতে আসা কর্মজীবী মাহনাজ পারভীন নামে এক নারী বলেন, প্রথম যখন মূলা বাজারে উঠেছিল তখন মূলার চেহারা ছবি ভালো ছিল না, কিন্তু দাম ছিল অনেক বেশি। আর এখন বাজারে মূলার চেহারা দেখলেই নিতে ইচ্ছে করে। দামও কম, আমি ৫ টাকা কেজি কিনলাম।

খানসামা উপজেলার সবজি চাষি আবদুল লতিফ বলেন, আমি এবার অনেক মূলা আবাদ করেছি। বর্তমানে যে দাম তাতে খরচতো দূরের কথা লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে মূলা জমি থেকে না তুলে হালচাষ দিচ্ছি। শুধু আমি একাই নই, এ কাজ অনেকেই করছে।

খানসামা বাজারের বিক্রেতা শাহীন বলেন, আমরা প্রতি কেজি মূলা চার টাকা কেজিতে কিনেছি। মাত্র এক টাকা লাভে বিক্রি করছি। তবে দাম কম হলেও বাজারে ক্রেতা কম। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও অনেক কম। ক্রেতারা সাধ্যমতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন শীতকালীন সবজি।

এদিকে দাম কমে যাওয়ায় অনেকে তাদের দোকানে মূলা বিক্রি করছেন না। কারণ মূলার দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি করে কেজিতে ১ টাকার বেশি লাভ করা যায় না। তাই তারা মূলা বিক্রি করছেন না।

এমদাদুল হক মিলন/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।