আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ মিথ্যা বললেন মায়া

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁদপুর
প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার পক্ষের আইনজীবী।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলামের কার্যালয়ে মায়া চৌধুরীর পক্ষে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পক্ষের আইনজীবী মো. সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে অনুসন্ধান কমিটি।

মায়া চৌধুরী লিখিত ব্যাখ্যায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং প্রার্থীর অভিযোগপত্রে বর্ণিত অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ২ ডিসেম্বর আমার বড় ছেলে মারা যায়। মৃত্যুর আগ থেকে আমি ও আমার রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শোকার্ত। ২৭ নভেম্বর থেকে আমি ও আমার পরিবার চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলাম।

অভিযোগে উল্লেখিত ১ ডিসেম্বর মোটরসাইকেল নিয়ে হুমকি-ধামকি বা অন্য কোনো বিষয়ে আমি জানি না। চাঁদপুর-২ আসনে দুবার সংসদ সদস্য ছিলাম এবং মন্ত্রী ছিলাম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আমি শতভাগ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নির্বাচনী আচরণ সম্পর্কে জানি। আমি আমার কর্মী সমর্থক এবং আমার দলের নেতাকর্মীদের তফসিল ঘোষিত নির্বাচনী প্রচারণার সময় ব্যতিরেকে নির্বাচনী প্রচারণা না চালাতে নির্দেশ দিয়েছি।

মায়া চৌধুরী বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের কাছে আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আমরা ব্যাখ্যা চেয়েছি। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তদন্ত পূর্বক বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

শরীফুল ইসলাম/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।