টিকটকে প্রেম পরে বিয়ে

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে তরুণীর অবস্থান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

শরীয়তপুরের জাজিরায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সজীব ফকির (২৮) নামের এক সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন সৌদি প্রবাসী তরুণী (২৫)। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে উপজেলার জাজিরার নাওডোবা ইউনিয়নের আবেদ আলী মুন্সি কান্দির জাহাঙ্গীর ফকিরের বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি। সজীব ফকির ওই এলাকার জাহাঙ্গীর ফকিরের ছেলে।

ভুক্তভোগী তরুণীর ভাষ্যমতে, তার বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়ায়। তারা দুজনই সৌদি প্রবাসী। সৌদি থাকাকালীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। প্রায় দেড় বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা সৌদি আরবে এক বাঙালি হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে করেন। দেড় মাস আগে দুজনই দেশে ছুটিতে আসেন। ছুটিতে এসে সজীবও কক্সবাজারে ওই তরুণীর বাড়িতে বেড়াতে যান। তবে সেখান থেকে ফিরে আসার পরই ওই তরুণীকে এড়িয়ে চলা শুরু করেন সজীব।

jagonews24

একপর্যায়ে তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন সজীব। পরবর্তীসময়ে কোনো উপায় না দেখে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সজীবের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। ওই তরুণীর আসার খবর পেয়ে পালিয়েছেন সজীব।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘সজীব আমাকে সৌদিতে বিয়ে করে তার সঙ্গে রেখেছে। এমনকি ছুটিতে আসার পর কক্সবাজারে আমাদের বাড়িতেও সে আমার সঙ্গে স্বামী হিসেবে ছিল। এখন সে সবকিছু অস্বীকার করছে। তাই আমি তার বাড়িতে চলে এসেছি। সজীব যদি আমাকে গ্রহণ না করে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’

jagonews24

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার জুলফিকার আলী বলেন, ‘মেয়েটি এখানে আসার পর তার কোনো কথা না শুনেই সজীবের মা-বোন তাকে গালিগালাজ করেন। বেশ কয়েকবার মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টির সুরাহা করতে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবো।’

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সেখানে ওই ওয়ার্ডের নারী ইউপি মেম্বারকে পাঠাতে বলেছি। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিধান মজুমদার অনি/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।