আমাদের শিকড় অনেক গভীরে: তৈমূর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ঘরে ঘরে তৈমূর আলম খন্দকারকে জানে। তৈমূরের গণবিরোধী কোনো ভূমিকা নেই। আমি বিঘা বিঘা জমি ভরাট করিনি। এদেশের ঋণ সালিশি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন আমার দাদা। দেশে যখন প্রথম স্কুল হয় তখন জমি দিয়েছিলেন আমার দাদা। আমাদের শিকড় অনেক গভীরে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘কেউ যদি টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চায় আমি প্রতিবাদ করবো। আমি জনগণের কাছের মানুষ। জনগণের সুখে-দুঃখে থাকি। নির্বাচন কমিশনের উচিত টাকা নিয়ন্ত্রণ করা। নির্বাচন এলেই অনেকেই দরদি হয়ে যায়। আর আমি সারাবছর নির্বাচন করি, সারা বছর মাঠে থাকি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল বিএনপির যারা প্রার্থী তাদের অর্থ সংকট রয়েছে। আমরা যাদের মনোনয়ন দিয়েছি তারাও সাধারণ লোক। যারা জনগণের টাকায় হাজার কোটি টাকার মালিক, যাদের এক পা বাংলাদেশে আরেক পা বিদেশে, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। যে কারণে অনেকেই মনে করেন আমাদের মাঠে টিকে থাকাটা কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে আমাদের মনোবল, সততা, স্বচ্ছতার কারণে আমরা টিকে যাবো। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমার বিরুদ্ধে যদি ১০ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ থাকে তাহলে আমি মাফ চেয়ে দেশত্যাগ করবো। আমি বাবা-মায়ের জমি বিক্রি করে রাজনীতি করি। যখন যেখানে প্রয়োজন আমি নির্বাচন করি।’

‘নারায়ণগঞ্জের যেকোনো তিনটি আসনে নির্বাচন করার মতো যোগ্যতা রয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন সংগঠন করি। আমি নিজের পায়ে হাঁটতে পারি। তৈমূর আলম খন্দকার কারো সমর্থন ছাড়া নিজের পায়ে হাঁটতে পারে। কারণ আমার জনসম্পৃক্ততা থাকতে পারে। যেখানে জনগণ বিপদগ্রস্ত হয়েছে সেখানেই হাজির হয়েছি। জনগণ আমাকে মজলুম জননেতা বলে। দলমত নির্বিশেষে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমিই একমাত্র ব্যক্তি ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। জনগণের পক্ষে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি।’

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।