কিছুক্ষণ পরপর দেখা মিলছে ভোটারের, দুপুরের পর বাড়ার আশা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে লম্বা লাইন নেই, তবে কিছুক্ষণ পরপরই দেখা মিলছে ভোটারদের। কেন্দ্রে এলেই ভোট দিতে পারছেন তারা।
তবে দুপুরের পর ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে জানিয়েছে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা পঞ্চানন্দ রুহুল উলুম (আর.ইউ) দ্বি-মূখী দাখিল মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে এসেছেন আনিসা আক্তার জুই। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ভোটার হওয়ার পর এটা প্রথম নির্বাচন। তাই ভোটটা দিতে এসেছি। এসে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। বুথ খালি ছিল, সঙ্গে সঙ্গেই ভোট দিয়ে দিয়েছি। পরিবেশ নিয়েও আমি সন্তুষ্ট।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. শফিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে আমাদের এখানে ভোটার উপস্থিতি কম। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫ হাজার ৩২৪ ভোটারের মধ্যে ৩২৮ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আশা করা যাচ্ছে দুপুরের পর ভোটার বাড়বে।
শহীদ মিনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, এ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বেশ ভালো। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭২৬ ভোট কাস্টিং হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের ৬৪৬ ভোটকেন্দ্রের ৪ হাজার ৪২৩টি কক্ষে বা বুথে চলছে ভোটগ্রহণ। সকাল ৮ টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা, পুলিশ বিভাগ ও নির্বাচন অফিসসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১৫ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ২৩ প্লাটুন বিজিবি, ২৫ প্লাটুন সেনাবাহিনী ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শামীম সরকার শাহীন/এমএসএম/এএসএম