ঠাকুরগাঁওয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ভোগান্তি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। দিন দিন জেলায় তাপমাত্রা কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যেরে মুখ দেখা যায় না। শনিবারও সূর্যের দেখা মিলেছিল শেষ বিকেলে। ফলে শীতের তীব্রতা এলাকায় একটু বেশিই রয়েছে।

শীতের কারণে সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় তাদের আয় উপার্জনে ব্যাঘাত ঘটছে। আবার একটু কাজ করতেই নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। শীত নিবারণের জন্য পুরাতন মোটা কাপড় (হকার্স মার্কেট) দোকানে ভিড় করছে মানুষজন। এ শীত ও ঘন কুয়াশা কৃষকদেরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠে থাকা আলু ও টমেটো ক্ষেতে দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। আবার বোরো চারাও ঠিকভাবে অঙ্কুরোদগম হচ্ছে না।

jagonews24

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকার কৃষক আশরাফুল বলেন, আমার কয়েকটি জমির আলু ক্ষেতের পাতায় মোড়ক দেখা দিয়েছে। এটি মূলত শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে। এখন ঘন ঘন বালাইনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। যাতে আমার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

রহিমানপুর এলাকার মিজানুর রহমান জানান, বোরো বীজ বপন করলেও চারা গজাচ্ছে না। শীতের কারণে চারা একটু কম গজায়। আবার যেগুলো গজিয়েছে সেগুলোও লাল বর্ণ ধারণ করছে। অনেক সময় মরে যাচ্ছে।

jagonews24

বসিরপাড়া এলাকার অটোরিকশাচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, সকালে অটো নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু রাস্তায় লোকজন কম। তাই ভাড়া কম হচ্ছে। দুপুর হতে না হতেই আমার অবস্থা খারাপ। ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে শীত। আর কাজ করবো না, বাড়িতে চলে যাবো।

ঠাকুরগাঁও হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রকিবুল আলম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগী হাসপাতালে বেশি আসছে। শীতজনিত রোগী বেশির ভাগ শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছে। আমরা তাদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

ঠাকুরগাঁও ত্রাণ শাখার অফিস সহকারী তসিরুল ইসলাম বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৩২ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

তানভীর হাসান তানু/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।