জয়পুরহাটে বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
জয়পুরহাটের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এরই মধ্যে জেলার সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।
সোমবার সকাল ৭টায় নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া কার্যালয়ের টেলিপ্রিন্ট অপারেটর আরমান হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বদলগাছীতে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববারের চেয়ে সোমবার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। বদলগাছী ও জয়পুরহাট খুবই কাছাকাছি এলাকা এ জন্য বদলগাছীর রেকর্ড জয়পুরহাটেও ধরা হয়ে থাকে।
বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুর রহমান বলেন, সোমবার সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা নিম্নমুখী। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ ভাগ।
এদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জয়পুরহাটে। কনকনে ঠান্ডার কারণে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার নাজেহাল অবস্থা। জেলায় এক সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে।

রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহগুলো সকাল ও সন্ধ্যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলচল করছে।
বিশ্বাসপাড়া এলাকার রিকশা চালক শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলে, সকাল থেকে প্রচন্ড কুয়াশা ও ঠান্ডা পড়ছে। সকালে কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে বেশি সময় রিকশা চালানো যাচ্ছে না। তাই আমাদের ভাড়াও কমে গেছে। গত দুই দিন কুয়াশা কম ছিল। আজ থেকে আবারও কুয়াশায় কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না।
পরিস্থিতি বিবেচনায় জেলা প্রাথমিক ও জেলা শিক্ষা অফিসার ২১ ও ২২ জানুয়ারি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ ও মাধ্যমিকে ছুটি ঘোষণা করা হয়। রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ডিসি স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে রোববার ও সোমবার বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমান উদ্দিন মণ্ডল বলেন, জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে হওয়ায় রবি ও সোমবার দুই দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের সব বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এনআইবি/জিকেএস