ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ, মরদেহ নিয়ে মানববন্ধন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৭:১২ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

টাঙ্গাইলে নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মানবসেবা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক গৃহবধূ মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মরদেহ নিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শনিবার (৩ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিজারের জন্য গৃহবধূ সাবিনাকে শহরের মানবসেবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে ডা. খন্দকার মনিরা তার সিজারের সময় ভুল করে জরায়ু কেটে ফেলেন। বিষয়টি স্বজনদের না জানিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে স্বজনদের চলে যেতে বলেন তিনি। রাতে ঢাকায় নেওয়ার পর স্বজনরা জানতে পারেন সাবিনার জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চিকিৎসক ডা. খন্দকার মনিরার শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী মিছিল নিয়ে হাসপাতালটি ঘেরাও করে। এসময় হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এরপর হাসপাতালের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

jagonews24

শনিবার হত্যার বিচার ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে সাবিনার মরদেহ নিয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসি ও স্বজনরা।

এদিকে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় ক্লিনিক বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া অভিযুক্ত চিকিৎসকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

jagonews24

টাঙ্গাইল ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি লায়ন এম শিবলী সাদিক বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারকে সহায়তা নিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলাম। তবে ওই পরিবার সেই আশ্বাস উপেক্ষা করে ক্লিনিকে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। এছাড়াও তারা বিচার দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় মানববন্ধন করেছে। বিষয়টি এখন আমাদের সমাধানের পর্যায়ে নেই।

টাঙ্গাইলের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুহম্মদ আজিজুল হক জানান, ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূ মৃত্যুর কোনো অভিযোগ পায়নি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

আরিফ উর রহমান টগর/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।