বাসররাতের পর সকালে বাড়ির পাশে মিললো বরের গলাকাটা মরদেহ

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাসররাত পার না হতেই জীবন প্রদীপ নিভে গেলো মো. ওমর আলী (২৫) নামে এক যুবকের। মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বাড়ির পাশ থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিন ভোরে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের তাহেরপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওমর আলী তাহেরপুর এলাকার শাহজাহান ফরাজির ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী গ্রাম তাজেরপাড়ার শাহ আলম কারীর মেয়ে ফারজানা কলি রুকিয়ার (১৮) সঙ্গে বিয়ে হয় ওমর আলীর। সোমবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর নববধূকে বরের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার ভোরে ফজরের নামাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হন ওমর। কিছুক্ষণ পর বাড়ির পাশের একটি মরিচক্ষেতে তাকে গলাকাটা অবস্থায় দেখে চিৎকার করে এলাকার বাচ্চারা।

বাসররাতের পর সকালে বাড়ির পাশে মিললো বরের গলাকাটা মরদেহ

নিহতের বাবা শাহজাহান জানান, রাতে ছেলের শ্বশুরবাড়ির মেহমানের সঙ্গে আমরা শুয়ে পড়ি। সকালে আমার আগে ছেলে নামাজে যায়। আমি অন্যপথ দিয়ে নামাজে যাই, কিন্তু মসজিদে গিয়ে তাকে না পেয়ে নামাজ শেষে বাড়িতে এসেও তাকে পাইনি। কিচ্ছুক্ষণ পর বাড়ির ছোট্ট বাচ্চারা বাসা থেকে নেমে আমার ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখে। আমার ছেলের কোনো শত্রু নাই, তাবলিক করে, নামাজ পড়ে, সাধারণ জীবনযাপন করে।

নিহতের চাচাশ্বশুর মো. ফেরদৌস জানান, একই এলাকার ছেলে হওয়ায় আমরা ছেলের পরিবারকে ভালোভাবে চিনি। ভালো ছেলে হওয়ায় আমরা তার সঙ্গে ভাতিজিকে বিয়ে দিয়েছি। কাল আমার মা ওই ভাতিজির সঙ্গে এসেছে, কিন্তু সকালে এই খবর শুনে আমরা এখানে আসি।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। নিহতের পাশে একটি গাছকাটা দা পাওয়া গেছে, তার শরীরে গলাকাটা ছাড়া আর কোথাও কোনো ক্ষত নেই। যেহেতু গতকাল বিয়ে হয়েছে, তাই আমরা উভয় পরিবারকে নজরে রাখছি। পটুয়াখালী থেকে এক্সপার্ট ক্রাইমসিন এসে অনুসন্ধান করার পর মৃত্যুর কারণ বলতে পারবো।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।