‘ঋণ খেলাপি হয় অনুমোদনের পূর্বেই, বিতরণের পরে না’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৪:৪০ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেছেন, ‘আমাদের দেশের বড় শিল্পে বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা অধিকাংশ ব্যাংকের ক্ষেত্রেই খুব বেশি সুখকর নয়। বড় ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে যে নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। বাস্তবতার নিরিখে আমরা সবসময় তা পারি না। কোনো একটি ঋণ খেলাপি হয় তা অনুমোদনের পূর্বে, বিতরণের পরে না। কারণ ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যখন বিভিন্নভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি, ধরে নিতে হবে সেই ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা শুরুতেই ৫০ ভাগ কমে যায়।’

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুরে সিএমএসএমই ক্লাস্টার চিহ্নিতকরণ, ক্লাসটারের সঙ্গে ব্যাংকের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং অর্থায়ন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা শহরের সোনার বাংলা চাইনিজ রেস্তোরায় ব্র্যাক ব্যাংকের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে পুঁজির ঘাটতি রয়েছে। উদ্যোক্তাদের বড় পুঁজি শিল্প স্থাপনের চাইতে, যদি শ্রম নির্ভর শিল্প স্থাপন করা হয়, তবে তা অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, পরিবেশ রক্ষা এ তিনটি খাতকেই সামঞ্জস্য করা সম্ভব শুধুমাত্র সিএমএসএমই খাতের প্রসারের মাধ্যমে। এতে টেকসই উন্নয়ন করাও সম্ভব।

ব্র্যাক ব্যাংকের পিএলসি ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের রিজিওনাল হেড জামশেদ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের পিএলসি ডিএমডি এবং হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন, হেড অব স্মল বিজনেস (সেন্ট্রাল) এসএমই ব্যাংকিং ডিভিশন এস এম আলমগীর হোসেন ও জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এম আর মাসুদ। এসময় লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, কর্মকর্তা ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক সারাবছর ধরে বিভিন্ন জেলায় ক্লাস্টার ফাইন্যান্সিং বিষয়ক কর্মশালা আয়োজনের জন্য বিভিন্ন ব্যাংককে লিড ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে। এরই সূত্র ধরে লক্ষ্মীপুর ও গাইবান্ধা জেলার লিড ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক দায়িত্ব পেয়েছে।

কাজল কায়েস/এনআইবি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।