সেই ওহিকে পাওয়া গেল রাস্তার পাশে, ফিরল মায়ের কোলে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কিন্ডার গার্টেন থেকে চুরি হওয়া ৯ মাস বয়সী সেই শিশু মালিহা ইসলাম ওহি মায়ের কোলে ফিরেছে। রাতে খালি গায়ে পুরানো কম্বল পেঁচিয়ে একটি রাস্তার পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে শিশুটিকে মায়ের কোলে তুলে দেয় পুলিশ।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিশুটির বাড়িতে গেলে এমনটিই জানিয়েছে তার মা মরিয়ম বেগমসহ স্বজনরা।

ওহির মা মরিয়ম বেগম, মামা মো. ইব্রাহিম, সোহাগ মিজি ও স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিশুটি উদ্ধারের কিছু আগে তারা থানা থেকে বাড়ি আসেন। এরপরই থানা থেকে কল আসে শিশুটি উদ্ধার হয়েছে। থানা থেকে ছবিও আসে ওহির খালার কাছে। পরে থানায় গিয়ে শিশুটিকে কোলে নিয়ে শোক কাটিয়ে উঠেন তার মা। তবে আনন্দের কান্নাটুকুও করতে পারেননি মরিয়ম। চারদিন ধরে ওহির জন্য কান্না করতে করতে চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে তার।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কমলনগরের হাজিরহাট উপকূল কলেজের দক্ষিণের একটি কাঁচা রাস্তার পাশে খালি গায়ে একটি পুরনো কম্বল পেঁচিয়ে ওহিকে ফেলে রেখে যায় চোর। ওই রাস্তা দিয়ে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক মো. ইউছুফ বাড়ি যাচ্ছিলেন। হঠাৎ শিশুটিকে দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার দেন। পরে আশপাশের মানুষ এসে শিশুটিকে কোলে নেয়। তারা তাকে জামা পরিয়ে একটি কম্বল পেঁচিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ওহিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তবে চোরকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

ওহির মা মরিয়ম বেগম বলেন, পুলিশ, র‌্যাব, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষ ওহিকে উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন। ওহিকে ফিরে পেয়েছি, এটি সবচেয়ে বড় আনন্দের। তবে যিনি ওহিকে চুরি করে আমার চোখের পানি ঝরিয়েছে। পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

কমলনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল জলিল বলেন, শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়েছে। চোরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।

কাজল কায়েস/এএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।