দুই গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ৮

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ০৫:৪২ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

গান শোনাকে কেন্দ্র করে হওয়া পূর্ব দ্বন্দ্বের জেরে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গোপালদিয়াড় ও বাঁশবাড়িয়া নামের দুটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সেবাবাগ বাজারে গোপালদিয়াড় ও বাঁশবাড়িয়াবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় মসজিদের মাইকে লোকজন ডেকে মারামারির জন্য একত্রিত করার অভিযোগ উঠেছে বাঁশবাড়িয়া গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, সোমবার বিকেলে হাটবোয়ালিয়া বাজারে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ইমরান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে গোলযোগ বাধে গোপালদিয়াড় গ্রামের এনামুল নামের আরেক ব্যক্তির। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। এসময় স্থানীয় হাটবোয়ালিয়া বাজারে থাকা লোকজন তাদের দুজনকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তারা গ্রামে ফিরে গ্রামের মানুষকে বিষয়টি জানায়। পরে ইমরানকে নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফেরার সময় গোপালদিয়াড় গ্রামবাসী সেবাবাগ বাজার নামক স্থানে আবার ঝামেলা শুরু করে। এসময় বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে মারামারির জন্য লোকজনকে একত্রিত করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় উভয় গ্রামের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আলমডাংগার হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আলমডাঙ্গা থানা, ওসমানপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন, মাইকে শুনে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। তবে পুলিশ দ্রুত পৌঁছেছে বলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

গোপালদিয়াড় গ্রামের আহত ৫ জন হলেন- জামাত আলীল ছেলে আশিক (২৫), মৃত আজগর আলীর ছেলে চাঁদ আলী (৫০), শুকুর আলীর ছেলে ইকলাচুর রহমান (৩৫), আক্তার আলীর ছেলে সাহাবুল হক (৪০) ও আব্দুল বারেক আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম(৪৫)।

বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আহত ৩ জন হলেন- ইউনুচ আলীর ছেলে নান্নু (৩৫), মহিদুল ইসলামের ছেলে জীবন আলী (২৮) ও মৃত ফাকের আলীর ছেলে ইউসুচ আলী (৬০)।

এদিকে, দুই গ্রামের এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) একরাম হোসাইন বলেন, মাইকে প্রচারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দুই গ্রামের কয়েকজন মানুষের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। কোনো পক্ষের অভিযোগ আমরা পাইনি। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

হুসাইন মালিক/এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।