ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষায় সাঁওতাল-বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৮:৩৭ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

গাইবান্ধায় সাঁওতাল-বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের ডিবি রোডে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) মুক্তমঞ্চে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ।

সাঁওতাল-উড়াওঁসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের দাবি-সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে একটি শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভা ও বাঙালিসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করে। এতে শতাধিক সাঁওতাল-উড়াওঁসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ এতে অংশগ্রহণ করে।

ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষায় সাঁওতাল-বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব

জনউদ্যোগের সদস্যসচিব প্রবীর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ মাজহারউল মান্নান, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, সদস্যসচিব হাসান মোর্শেদ দীপন, নারী নেত্রী অঞ্জলী রানী দেবী, নাজমা বেগম, শিক্ষক আহাদুজ্জামান রিমু, অবলম্বনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর একেএম মাহবুব আলম মুকুল, সাঁওতাল নেত্রী মারিয়া মুর্মু, তেরেসা সরেন, ইয়ুথ নেতা সান্তনা রবিদাস প্রমুখ।

ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষায় সাঁওতাল-বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব

এসময় বক্তারা বলেন, সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাদের সংস্কৃতিও বিলুপ্ত হচ্ছে। এরা বাংলাদেশের দরিদ্রতম প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। অধিকাংশই ভূমিহীন। আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। অবিলম্বে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে আদিবাসী ও তাদের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এটি হতাশাজনক যে, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় রয়েছে অনেক গীত, ঝুমুর, গল্প; যা কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে। এ সব ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ জরুরি। না হলে ভাষাগুলো গবেষণা ও পরিচর্যার অভাবে হারিয়ে যাবে।

শামীম সরকার শাহীন/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।