মুন্সিগঞ্জে জমজমাট ঈদ বাজার, দাম চড়া

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০২৪

মুন্সিগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে জমে উঠেছে বেচাকেনা। বিপণি-বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, এবার দাম তুলনামূলক বেশি। দাম বেশি হওয়ার নানা কারণও দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা।

সরেজমিন দেখা যায়, বিপণি-বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। যেন পা ফেলার জায়গা নেই। তবে সন্ধ্যার পর ভিড় আরও বেড়ে যায়। নারীরা কিনছেন শাড়ি-থ্রিপিস। তবে পুরুষের প্রথম পছন্দ পাঞ্জাবি।

একই চিত্র জুতাসহ অন্য আইটেমের দোকানগুলোতে। ক্রেতারা বলছেন, এখন ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে পছন্দসই পোশাক পাওয়া যাবে না। দামও বেড়ে যায়। এ আশঙ্কায় আগেভাগেই কেনাকাটায় নেমেছেন তারা।

মুন্সিগঞ্জে জমজমাট ঈদ বাজার, দাম চড়া

শহরের আফতাবউদ্দিন কমপ্লেক্সে কেনাকাটা করতে আসা মুন্না শিকদার বলেন, ‘ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে দাম তত বাড়বে। পছন্দসই জিনিসও কমবে। তাই যত তাড়াতাড়ি কেনাকাটা করা যায় ততই ভালো। তাই এসেছি। প্রথমে শিশুদের, পরে বাড়ির নারীদের জন্য জামা কিনেছি। এখন বাকি পুরষদের। আমরা কিছু পাঞ্জাবি কিনবো।’

নুসরাত জাহান নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘মেয়ের জন্য জামা কিনলাম। তবে গতবারের তুলনায় এবার সব জামারই দাম তুলনামূলক বেশি। বেশি পছন্দ হচ্ছে পাকিস্তানি ড্রেসগুলো। নায়রা, আলিয়াকার্ট জামা আছে।’

তরুণ-যুবকদের প্রথম পছন্দ পাঞ্জাবি। এবার সিকুয়েন্স আর রেমি কটন পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। নারীরা জামার সঙ্গে মিলিয়ে ক্রয় করছেন বিভিন্ন ধরনের জুতা।

মুন্সিগঞ্জে জমজমাট ঈদ বাজার, দাম চড়া

নারীদের পোশাকের দোকানদার মো. মানিক বলেন, এবার নারীদের ৪-৫ হাজার টাকা দামের পোশাকগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে গতবারের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি। ডলারের দামও বেশি। আমাদের কিনে আনতে খরচ বেশি পড়ে যাচ্ছে।’

মুন্সিগঞ্জ শহরের মসজিদ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জনি। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে তার প্রভাব পোশাক-পরিচ্ছদের ওপর পড়েছে। আমাদের পাইকারি-ই বেশি দামে কেনা পড়ে যাচ্ছে। এমন নয় যে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ী নাইম বলেন, সন্ধ্যার পর কাস্টমার বেড়ে যায়। এবার কেনাকাটা বেশ জমজমাট। আলহামদুলিল্লাহ! ভালো বেচাকেনা হচ্ছে।

মুন্সিগঞ্জে জমজমাট ঈদ বাজার, দাম চড়া

ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসান জাগো নিউজকে জানান, তিন শতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। বিভিন্ন পয়েন্ট ও মার্কেটে বিভিন্ন টিমে তারা কাজ করছেন। দুই লাখ টাকার বেশি পণ্য কেউ বহন করলে তাকে গন্তব্যে পৌঁছাতে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।