কারাগারে বিশেষ খাবার-শাড়ি-লুঙ্গি পেলেন বন্দিরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
প্রকাশিত: ০৮:৪১ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২৪
ফাইল ছবি

ঈদে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের বিশেষ খাবার, শাড়ি, লুঙ্গি ও ডে-কেয়ার সেন্টারের শিশুদের বিশেষ খাবার ছাড়াও নতুন জামা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া কারাগারগুলোতে বন্দিদের জন্য আলাদা-আলাদাভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঈদের পরদিন বন্দিদের জন্য স্বজনদের রান্না করা খাবার ও সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হবে। এসময় কারাগারের প্রধান ফটকে দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীরা স্বজনদের কারাগারে ঢোকার সময় ব্যাগ ও খাবার তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দেবেন।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, তার কারাগারে প্রায় দুই হাজার ৩০০ বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৩৬ জন ফাঁসির, তিন শতাধিক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। এখানে ঈদের আগের দিন অসহায় বন্দিদের লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে। এ কারাগারের ভেতরে বন্দিদের জন্য ঈদের নামাজের ২০টি জামাত হয়।

বন্দিদের খাবারের তালিকায় ছিল সকালে পায়েস, মুড়ি, দুপুরে মাংস, পোলাও, সালাদ, কোল্ড ড্রিংকস এবং রাতে সাদা ভাত, রুই মাছ ও মুড়িঘণ্ট।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এর সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ জানান, কারাগারে এক হাজার ৩১৩ জন বন্দি রয়েছেন। এছাড়া এখানে বন্দিদের মধ্যে শতাধিক ফাঁসি, অর্ধশতাধিক যাবজ্জীবনের আসামি। এ কারাগারে বন্দিদের জন্য ঈদের তিনটি জামাত হয়।

কারাগারে পার্ট-১-এ বন্দিদের খাবারের তালিকায় ছিল সকালে পায়েস-মুড়ি, দুপুরে মাংস, পোলাও, সালাদ, পান সুপারি, কোল্ড ড্রিংকস। আর রাতে ছিল সাদা ভাত, আলুর দম, রুই মাছ, মুড়িঘণ্ট। এছাড়া এখানে ঈদের আগে অসচ্ছল বন্দিদের লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে।

কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২-এর সুপার মো. আমিরুল ইসলাম জানান, তার কারাগারে মোট বন্দি আড়াই হাজারের ওপরে। তাদের মধ্যে শতাধিক ফাঁসি ও পাঁচ শতাধিক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন।

এই কারাগারে বন্দিদের জন্য ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বন্দিদের খাবারের তালিকায় ছিল সকালে পায়েস-মুড়ি, দুপুরে মাংস, পোলাও, পান সুপারি, কোল্ড ড্রিংকস এবং রাতে সাদা ভাত, আলুর দম, রুই মাছ ও মুড়িঘণ্ট। এ কারাগারেও ঈদেও আগে অসচ্ছল বন্দিদের লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, এখানে ৪৮৪ মতো বন্দি রয়েছেন। এছাড়া এ কারাগারের ডে কেয়ার সেন্টারে বন্দিরে সঙ্গে আসা ৫২ জন শিশু রয়েছে। এখানে ফাঁসির আসামি রয়েছেন ৩৩ ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন ৪০ জন। এদিন শিশুদের অন্য বিশেষ খাবারের পাশাপাশি নতুন জামা এবং চকলেট ও চিপস দেওয়া হয়েছে। এখানে এবার মহিলাদের জন্য একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মহিলা কারাগারে খাবারের তালিকায় ছিল সকালে পায়েস-মুড়ি, দুপুরে মাংস-পোলাও, ক্লোল্ড ড্রিংকস, পান সুপারি, সালাদ ও মিষ্টি এবং রাতে সাদা ভাত, আলুর দম, মুড়িঘণ্ট ও রুইমাছ।

আমিনুল ইসলাম/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।