খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো মা-ছেলেসহ চারজনের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ০৫ মে ২০২৪
প্রতীকী ছবি

খাগড়াছড়িতে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ চারজন নিহত হয়েছেন। রোববার (৫ মে) ভোরে দীঘিনালা, রামগড় ও মাটিরাঙ্গায় এসব ঘটনা ঘটে।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে টিনের ঘরে আগুন লেগে মা-ছেলে নিহত হয়েছেন। রোববার (৫ মে) ভোরে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, দীঘিনালার মধ্যবেতছড়ির মো. ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮)। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের স্বামী ছাদেক মিয়া বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘরের আগুন নিভিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, ভোরে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রাঘাতে ছাদেক মিয়ার মাটির ঘরের টিনের চালে আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা তার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও ছেলে হানিফ মিয়া আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে মারা যান। তবে এ সময় সঙ্গে থাকা তার আরেক ছেলে মো. হাফিজ (১১) প্রাণে বেঁচে যায়।

দীঘিনালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হক জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে থাকা দুটি গরুসহ গনেজ মারমা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ মে) ভোরে রামগড়ের দুর্গম হাজাছড়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে নিহত গনেজ মারমা দুর্গম হাজাছড়া গ্রামের বাসিন্দা কংজ মারমার ছেলে।

একইদিন মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে সুমিকা ত্রিপুরা (২৭) নামে এক গৃহিণী নিহত হন। এসময় তার দুই ছেলে আহত হয়। এছাড়া তার ঘরে থাকা তিনটি ছাগল মারা যায়। নিহত সুমিকা ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশীকারবারী পাড়ার বাসিন্দা সুশেন ত্রিপুরার স্ত্রী। তার দুই ছেলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ বলেন, এ মৃত্যু বড়ই মর্মান্তিক। তাদের পরিবারকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।