নরসিংদীতে ভোটকেন্দ্রে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী
প্রকাশিত: ০৯:২৪ পিএম, ০৮ মে ২০২৪

নরসিংদীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন শেষ হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের দুটি পৃথক কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।

অপরদিকে পলাশ উপজেলা নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সময়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ জাবেদ হোসেনের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুপুর আড়াইটার দিকে পাঁচদোনা স্যার কেজি গুপ্ত স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল বারিকের সমর্থক মেহেরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজহার অমিত আজাহার প্রান্ত কেন্দ্রে প্রবেশে করে। এনিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাপ-পিরিচের প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

এ সময় আনারস প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এতে দুজন আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এরআগে সকাল ৯টার দিকে একই ইউনিয়নের কাকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে এক এজেন্ট বের হতে চান। নিষেধ কলে তারা পেশি শক্তি দেখানোর চেষ্টা করে। পরে আনারস প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে কাপ-পিরিচ প্রতীকের সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

কাকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফলে ৪০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে।

অন্যদিকে পলাশ উপজেলা নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সময়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ জাবেদ হোসেন এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলমের প্রার্থী শরিফুল হকের বিরুদ্ধে।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একটি কেন্দ্রের বাহিরে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো ছিল। কোথাও বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।

সঞ্জিত সাহা/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।