নোয়াখালী

সব বিষয়ে পাস, বাস্তব প্রশিক্ষণে নম্বর না দেওয়ায় ফেল ১৩ শিক্ষার্থী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ১৭ মে ২০২৪

নোয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি (ভোকেশনাল) শাখার ১৩ পরীক্ষার্থীকে বাস্তব প্রশিক্ষণে (ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট) নম্বর না দিয়ে ফেল করানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদ রিয়াদের ‘কারসাজিতে’ এমনটা হয়েছে বলে দাবি অভিভাবকদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার এ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে ৯৯ জন পরীক্ষা দিয়ে ৬২ জন পাস করেছে। ভোকেশনাল শাখায় ৭৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ৫৭ জন পাস করে। এ শাখায় অকৃতকার্য ১৬ জনের মধ্যে ১৩ জন পরীক্ষার্থী বোর্ডের সব বিষয়ে পাস করলেও বিদ্যালয় থেকে পাঠানো বাস্তব প্রশিক্ষণে (ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট) নম্বর না দেওয়ায় তাদের অকৃতকার্য তালিকায় নাম আসে।

ভুক্তভোগী একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, শিক্ষকরা আমাদের থেকে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে নিয়ে বলেছেন বাস্তব প্রশিক্ষণে আমাদের নম্বর দিয়ে দেবেন। তারপরও পরীক্ষার পর কেন্দ্র নোয়াখালী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে যোগাযোগ করলে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে আমাদের ব্যবহারিকের এ নম্বর না দেওয়ায় আমরা ভালো ফলাফল করেও পাস থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা এর একটি সমাধান চাই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক জাগো নিউজকে বলেন, আমার মেয়ে সব বিষয়ে পাসসহ গোল্ডেন জিপিএ-৫ এর নম্বর পেলেও বিদ্যালয় প্রধানের খামখেয়ালিতে সে ফেল করেছে। এখন সে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি এজন্য দায়ীদের বিচার চাই।

সব বিষয়ে পাস, বাস্তব প্রশিক্ষণে নম্বর না দেওয়ায় ফেল ১৩ শিক্ষার্থী

বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জাগো নিউজকে বলেন, পরীক্ষার আগে বাধ্যতামূলক কোচিং করানো নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের মতবিরোধ হয়। তার ওপর ভোকেশনাল কেন্দ্র পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চলে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এমন কাজ করেছেন। এতে আমাদের ১৩ জন পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেলো।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাহমুদ রিয়াদ জাগো নিউজকে বলেন, কিছু পরীক্ষার্থী বাস্তব প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত থাকায় তাদের নম্বর দেওয়া হয়নি। বিষয়টি এখন ভিন্নখাতে নিতে একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছেন।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) নাজমা বিনতে আমিন জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।