নড়াইল পৌরসভার প্রাক্তন নির্বাহীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ১৭ মে ২০২৪
ফাইল ছবি

নড়াইল পৌরসভার প্রাক্তন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লালু সরদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করায় এ মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুদকের সমন্বিত কার্যালয় যশোরের উপ-সহকারী পরিচালক সাদিয়া সুলতানা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

দুদক জানায়, লালু সরদারের বিরুদ্ধে দুদকে ৩৫ লাখ ২২ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং ৩২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে এ মামলা করা হয়েছে।

লালু সরদার নড়াইলের লোহাগড়ার চরকরফা গ্রামের নওশের সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমানে পাইকাগাছা পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত লালু সরদার ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন নড়াইল পৌরসভা কার্যালয়, নড়াইলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০২১ সালে তিনি পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানে নড়াইল পৌরসভার মেয়র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা লালু সরদার ও অন্যান্য কর্তৃক পৌরসভার ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর এনফোর্সমেন্ট টিম এ বিষয়ে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য সুপারিশ করে। অভিযুক্ত লালু সরদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জন করে নিজ ও তার স্ত্রীর দখলে রাখার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে দুদক তার প্রতি নোটিশ জারি করে। তিনি সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণ করে ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ দুদকে নোটিশের জবাব দেন।

ফরম অনুযায়ী, লালু সরদার দুদকে মোট ১১ লাখ ৮২ হাজার ৯০ টাকার সম্পদ থাকার ঘোষণা দেন। কিন্তু যাচাইকালে লালু সরদারের নামে ৩৮ লাখ চার হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৯ লাখ ৯০ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকার তথ্যও পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে তার নামে ৪৭ লাখ চার হাজার ৯০ টাকার সম্পদ রয়েছে। ফলে দুদকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি ৩৫ লাখ ২২ হাজার টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করেছেন।

এছাড়া ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ পর্যন্ত তার বৈধ আয় বাদে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৩২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩৪ টাকা।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত লালু সরদার তার নিজ নামে দুদকে ৩৫ লাখ ২২ হাজার টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন এবং ৩২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।

এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে নড়াইলের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করা হয়।

দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আল-আমিন জাগো নিউজকে জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

মিলন রহমান/এনআইবি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।