মাদারীপুরে জমি বিরোধ নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, যুবক নিহত
মাদারীপুরের কালকিনিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে মো. সাজ্জাদ হাওলাদার (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের নারীসহ কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন।
সাজ্জাদ হাওলাদার কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকার কালু হাওলাদারের ছেলে। সাজ্জাদ পেশায় একজন স্যানেটারি ব্যবসায়ী ছিলেন।
আহতরা হলেন, উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকার আসাদ হাওলাদার (৩৬), মনির হাওলাদার (৪৪), খলিল হাওলাদার (২৫), জাহানারা বেগম (৬০), কালু হাওলাদার (৫২), স্বপন হাওলাদার (৬০) প্রমুখ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কালকিনির চর আলিমাবাদ এলাকার কালু হাওলাদারের সঙ্গে একই এলাকার হারুন হাওলাদারের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফা সালিশ বৈঠক হয়। এরপরও জমি দখল নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হারুন হাওলাদার তার লোকজন নিয়ে কালু হাওলাদারের ওপর হামলা চালায়। এরপর দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের আটজন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সাজ্জাদ হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের বাবা কালু হাওলাদার বলেন, হারুন হাওলাদার লোকজন নিয়ে আমাদের জমি দখলে নিতে আসেন। পরে তাদের বাঁধা দিতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর আমার ছেলে মারা যায়। যারা আমার ছেলেকে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।
অভিযুক্ত হারুন হাওলাদার বলেন, আমাদের ওপর তারা প্রথমে হামলা চালায়। আমরা প্রতিরোধ করেছি মাত্র। আমরা কারো কোনো জমি দখল করতে যাইনি। আমাদের বিপদে ফেলতে তারা মিথ্যে অভিযোগ দিচ্ছেন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও কালকিনি সার্কেল) মো. আলাউল হাসান বলেন, দুপক্ষের মধ্যে জমিজমা নিয়ে একদফা মারামারি হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আবারও দুপক্ষ মারামারি করে। একপর্যায়ে সাজ্জাদ নামে এক ব্যক্তির মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/আরএইচ/জিকেএস