কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতেই ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২৪
বন্যার পানি নামতেই ভেসে উঠছে বিভিন্ন সবজি ক্ষেত

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতের মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকার।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতে ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। অপরদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গ্রামাঞ্চলের কাঁচাপাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছে মানুষ। এসব গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক ও ঘর বাড়ির ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের কৃষক সেকেন্দার আলী বলেন, আমার এক বিঘা জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনো বাড়ির চারদিকে পানি। আমন বীজতলা করতে পারছি না। আমন আবাদও মনে হয় করা হবে না।

কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতেই ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা

একই এলাকার কৃষক হযরত আলী বলেন, বানের পানিতে এখনো সব জমি তলিয়ে। বীজতলা করার সময় শেষের দিকে। এবার আমাদের এলাকার কৃষকরা কেমন করে আবাদ করবে সেই চিন্তায় আছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এছাড়াও কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে তার পরামর্শ দিচ্ছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।

ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।