ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০২৪
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় এক শিক্ষার্থী

মুখে বাঁশি আর দুহাত মেলে ধরে ইশারায় সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা পালন করছে এক ঝাঁক তরুণ। উদ্দেশ্য মানুষের চলাচলে যেন অসুবিধা না হয়। এসময় বিভিন্ন দোকানপাট লুটপাট ও ভাঙচুর ঠেকাতেও দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চত্বরে পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও-ঢাকা মহাসড়কে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। যারা আন্দোলনের বিজয় ভিন্নখাতে নিয়ে বিভিন্ন বাসা ও দোকানে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করছেন, আমরা তাদের প্রতি নিন্দা জানাই। আজ আমরা সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছি। সড়কে যেন যানজট ও বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য কাজ করছি। আশা রাখি খুব শিগগির দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

মুন্না নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মাঠে এখন ট্রাফিক পুলিশ নেই। এজন্য সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা কাজ করছি।’

কথা হয় ইদ্রিস আলী নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যেহেতু বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট ঠেকাতে ছুটছেন, তাই আমরা সেনাবাহিনীকে সাময়িক সহযোগিতা করছি।’

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ঠাকুরগাঁওয়ের সদস্য সচিব মাহাবুব আলম রুবেল বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যারা অরাজকতা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে শক্ত অবস্থান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নেওয়াটা জরুরি। আমাদের ছাত্ররা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আন্দোলন করেছে তা যেন নষ্ট না হয়। সেনাবাহিনী অবশ্যই সেটি অক্ষুণ্ন রাখবে এটা আমার বিশ্বাস।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়াত হোসেন বলেন, চলমান পরিস্থিতি সবাই যেন শান্ত থাকেন। শিক্ষার্থীরা যেভাবে নাশকতা ঠেকাতে এগিয়ে এসেছে, তেমনি সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

তানভীর হাসান তানু/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।