নড়াইলে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয়
নড়াইলে ৪র্থ দফার নির্বাচনে সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর, বাঁশগ্রাম ও কলোড়া ইউনিয়নে একের পর এক সংঘর্ষ হামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদকসহ আহত হয়েছেন আনুমানিক ২৬ জন। আশঙ্কা রয়েছে এ তিনটি ইউনিয়নে যে কোনো সময় আবার সংঘর্ষ বাঁধতে পারে। এসব কারণে ৭ মে অনুষ্ঠিতব্য সদরের ৬টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে সদরের বাঁশগ্রাম বাজারে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নাজমুল ইসলামের সমর্থক মুফা মোল্যাকে (৩০) কুপিয়ে জখম করে। সোমবার রাতে সিঙ্গাশোলপুর ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম হিট্টু নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে গোবরা বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির বিদোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী উজ্জ্বল শেখের (আনারস) লোকজন হামলা চালালে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল, ছাত্রলীগ নেতা মোরাদ ফকির, নাইম, হোসেন, রনি, রাজু ও রকিসহ ১০ জন আহত হন।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে কলোড়া ইউনিয়নের মুশুড়ি গ্রামে গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের হাতে জেলা যুবমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আলম বাচ্চু, যুব মৈত্রীর নেতা বাবলু, প্রতীক, সমীরণ, সুমন, সৌভিক, গিয়াস, কাত্তিকসহ ১০ জনকে কুপিয়ে জখম ও মারধর করে।
এছাড়া ২০ এপ্রিল বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের দারিয়াপুর বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এক সংঘর্ষে দারিয়াপুর গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্র হেলাল, আতিয়ার, যদুনাথপুরের শরিফুল ও রহমতপুর গ্রামের আবুল বাসার আহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে দারিয়াপুর গ্রামের মতিয়ার, সিরাজ, আবু বক্কর ও মন্টুর বাড়ি ভাঙচুর হয়।
নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম জানান, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। দাঙ্গাপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হাফিজুল নিলু/এসএস/পিআর