শেখ হাসিনা দেশকে স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত করেছিলেন: তৈমূর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:১১ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত করে ছিলেন। শেখ হাসিনা কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষে যারা কথা বলেছেন তারাই স্বাধীনতার পক্ষে। যারা বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের স্বাধীনতার বিরোধী তকমা লাগিয়ে বিভিন্নভাবে অধিকার বঞ্চিত রেখেছেন।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে শহরের মাসদাইর এলাকার মজলুম মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন শহরের মাসদাইর এলাকার বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, দেশের রাজনীতিতে গুণগত মানের উন্নয়ন হওয়ার দরকার। আমাদের দেশের চিরাচরিত নিয়ম সেই নিয়মে রাজনীতি প্রতিহিংসামূলক না হয়ে সেখানে গুণগত অবস্থান সৃষ্টি হওয়া দরকার। যাতে এ দেশের মানুষ প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে নিরাপদ মনে করে। দেশের প্রতিটি মানুষ প্রতিটি মানুষের কাছ থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যে অপরাধ করবে তার শাস্তি হবে কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে থাকতে হবে। সেখানে অনেক ব্যত্যয় ঘটেছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে মানুষের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে। গায়েবি মোকদ্দমা দিয়ে মানুষকে শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সঠিকভাবে রাজনীতি করতে পারেনি। গায়েবি মামলাকে শেখ হাসিনা সরকার নির্যাতনের এবং প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

দেশের সংস্কার প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, এখন সংস্কারের কাজ চলছে। আমি রাজনীতি নিয়ে ভাবি না। দেশের একটা সংস্কার হওয়া দরকার। তবে এ সংস্কার সর্ব বিষয়ে হওয়া দরকার। আগের অবস্থায় দেশ পরিচালনা সিস্টেম একপেশে। যারা ক্ষমতায় তাদের সেবাদাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে আমলারা। অথচ সংবিধানে প্রজাতন্ত্রে সব কর্মচারী দায়িত্ব হবে জনগণের সেবা করা। সংস্কার হতে হবে গণআলোচনার মাধ্যমে গণশুনানির মাধ্যমে। সরকার মুষ্টিমেয় কিছু লোকের সঙ্গে কথা বলছে। আমরা চাই ব্যাপকভাবে আলোচনা হোক।

তিনি আরও বলেন, আমি আগেই বলেছি তৃতীয় প্রজন্মের দ্বারা সংস্কার হওয়ার দরকার। এ তৃতীয় প্রজন্মই হচ্ছে ছাত্রসমাজ। তারাই দেশ পরিচালনা করেছে। আমি আগেই বলেছি শেখ হাসিনা যদি ছাত্রদের কম্প্রোমাইজ না করে তাহলে শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ছাত্রদের জয় হবে। শেখ হাসিনা যেদিন ছাত্রদের রাজাকার বলছে তখন থেকেই এ আন্দোলনে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। শেখ হাসিনার পতনের অন্যতম কারণ মন্ত্রীদের অসংলগ্ন কথাবার্তা। এদেশের জনগণকে সরকার প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছি। প্রত্যেক জেলায় এমপি বানানো হয়েছে তারা সবগুলো লুটেরা ছিল।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।