মাঘের শীতে বিপর্যস্ত গাইবান্ধার জনজীবন

মাঘের শীতে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের জেলা গাইবান্ধার পথঘাট ও প্রকৃতি। সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শীত ও কুয়াশার কারণে কেউ কাজ ছাড়া খুব একটা বাইরে বের হচ্ছে না। সড়কে গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কোথাও কোথাও অনেকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন। শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। বিশেষ করে নদীপাড়ের লোকজন কাহিল হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আবহাওয়া ভালো থাকার পর হঠাৎ শীত ও কুয়াশা বাড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত। জেলায় গত দুদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার চারটি পৌরসভা ও ৮২টি ইউনিয়নের শীতার্তদের জন্য ২১ হাজার ৪০০ কম্বল এবং ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার কম্বল কেনার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
রিকশাচালক কাশেম মিয়া বলেন, ‘যতই শীত আর কুয়াশা আসুক, পেটের তাগিদে হামাক রিকশে নিয়ে বাইর হওয়ায় লাগে। ঠান্ডায় মানুষ বাইর হচ্ছে না, তাই যাত্রী কম পাচ্চি।’
দিনমজুর আব্দুল ছাত্তার মিয়া বলেন, ‘শীতে হাত-পা আটো হয়ে আসছে। কাজ করতে কষ্ট হয়। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে। কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হবে।’
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় গাইবান্ধার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই গাইবান্ধা জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আগামীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এ এইচ শামীম/জেডএইচ/জিকেএস