ভৈরবে মেঘনার ভাঙনে বিলীন ঘর-ওয়ার্কশপের জমি

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বিলীন হয়ে গেছে রাইস মিলের দুটি ঘরসহ বল্কহেড নির্মাণের ওয়ার্কশপের একটি অংশ।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ভৈরব বাজারের আশুগঞ্জ খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাইস মিলের পাশে প্রায় ২০০ মিটার জায়গা নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া একটি রাইস মিলের দুটি ঘর, বাল্কহেডের কয়েক লাখ টাকার লোহার সামগ্রী বিলীন হয়ে যায়।

নদী ভাঙনের খবর পেয়ে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন ও কিশোরগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙনের স্থায়ী সমাধান না করতে পারলে হুমকিতে থাকবে বন্দর নগর ভৈরব শহর। সেই সঙ্গে হুমকিতে রয়েছে ভৈরব বন্দর এলাকার তিনটি রেল ও সড়ক সেতু, দুটি তেলের ডিপো ও বিএডিসির দুটি সারের গুদাম।

স্থানীয় রাইস মিল মালিক পিয়াল বলেন, আমি রাতে বাসায় নামাজ পড়ছিলাম। সে সময়ে খবর পেলাম আমার মিলের দুটি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর আগেও ২০২২ সালের ভাঙনের দুটি রাইস মিল বিলীন হয়ে যায়।

ওয়ার্কশপ মালিক তাহের মিয়ার ছেলে ইমন বলেন, মেঘনা নদীর পাড়ে আমাদের বড় একটি বল্কহেড তৈরির কাজ চলছিল। হঠাৎ রাতে নদী ভাঙনে প্রায় ২০০ মিটার জায়গা বিলীন হয়ে যায়। এই ভাঙনে আমার দুই কোটি টাকার নৌকা নদীর বুকে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। ইতিমধ্যে কয়েক লাখ টাকার লোহার সিট বিলীন হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন জানান, নদীতে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ভাঙনে ১৫০ মিটার জায়গায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টায় দিকে মেঘনা ব্রিজ সংলগ্ন তেলের ডিপোঘাট এলাকায় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ১৮০ মিটার ভূমিসহ প্রায় ২০টি কাঁচাঘর ও যমুনা অয়েল কোম্পানির একাংশসহ বেশ কিছু স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছিল। এখনো সর্বহারা হয়ে অসহায় পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।

রাজীবুল হাসান/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।