বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৫ বছর ধরে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা নষ্ট করা হয়েছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৬ পিএম, ২০ মে ২০২৫
সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বিগত ১৫ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার ভিত্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই সেটা করা হয়েছে। স্থানীয় শিল্পের উন্নয়ন দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। বাজারের স্বাভাবিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা নষ্ট করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা নীতি সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ওই পরিস্থিতির পরে আমরা ক্ষমতা নিয়ে প্রচুর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলাম। কিন্তু বেশ কিছু ভালো পদক্ষেপে এখন দেশের রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে সুদিন এসেছে। ধীরে ধীরে অন্যান্য ক্ষেত্রেও সফলতা আসছে।

এসময় তিনি প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রসঙ্গে বলেন, অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো প্রতিযোগিতা কমিশনের সক্ষমতাও ধ্বংস করা হয়েছিল। যে কারণে সাধারণ মানুষ এর খুববেশি সুফল পায়নি। মানুষ চায় তাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিযোগিতার সুফল। এ কমিশনকে সে জায়গায় যেতে হবে।

বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, অনেক অসাধু প্রতিষ্ঠান বাজারে যোগসূত্র তৈরি করে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রতিযোগীদের দমিয়ে রাখতে প্রয়োজনে কম দামে পণ্য বিক্রি করে তাদের ধ্বংস করছে। তাদের শাস্তি দিতে হবে। আবার যারা ভোক্তাদের জিম্মি করে, সরকারকে ভ্যাট-টাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে উপার্জন করছে তাদের বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। ব্যবসায়ীদেরও দেশের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার চর্চা ও দেশের সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন করতে হবে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন কমিশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) পরিচালক ড. এ কে এনামুল হক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য (আইন) ড. আফরোজা বিলকিস, ফরেন কমনওয়েলথ এন্ড ডেভলপমেন্ট অফিসের ইকনোমিক অ্যাডভাইজর ইসাম মোসাদ্দেক এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান টি রহমান।

প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি মিস সোনালি দয়ারাত্নে।

প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিযোগিতা কমিশন শুধু কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করে না, সুরক্ষাও দেয়। ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান যারা বাজারে অসম প্রতিযোগিতায় পড়ছে, তাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। গুটিকয়েক কোম্পানি সিন্ডিকেট ভেঙে সব কোম্পানিগুলোকে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার সুযোগ করে দেওয়া আমাদের বড় লক্ষ্য।

এনএইচ/এমএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।