বাণিজ্য সচিব

ভারতকে বলবো আপনারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, আসুন সুরাহার পথ বের করি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ২০ মে ২০২৫
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান

স্থলবন্দর হয়ে ভারতে পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এলেও এ নিয়ে কোনো পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।

মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। স্থলবন্দর দিয়ে পোশাকসহ বেশকিছু পণ্য ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের করণীয় ঠিক করতে এ বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে আমরা এ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসেছি, তাদের মতামত নিলাম। পরিস্থিতির আর যাতে অবনতি না হয় সেজন্য প্রচেষ্টা থাকবে।’

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আজকে আমরা আমাদের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শুনলাম। এটা আমরা আমাদের নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। আমরা কোনো ধরনের রিটেলিয়েট কর্মসূচি নেবো না, তারা এটা করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে এনগেইজ হবো।’

আরও পড়ুন

এ ধরনের নিষেধাজ্ঞাকে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করেন বাণিজ্যসচিব। সমস্যার সমাধানে দু’দেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক আয়োজনের চিন্তার কথাও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলবো যে এতে করে শুধু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় নেই, আপনাদের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজেই আসুন আমরা বসি, একটা সুরাহার পথ বের করি। ভারতের সঙ্গে আমাদের সেক্রেটারিয়েট পর্যায়ের একটা এস্টাবলিস্ট ফোরাম আছে। বৈঠকের জন্য গত সপ্তাহে আমরা একটা চিঠি পাঠিয়েছি। সেই চিঠির উত্তর এলে আমরা বুঝতে পারবো যে কবে বসা যায়।’

বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এনএইচ/এমএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।