ইপিএ বাস্তবায়নে বিকেএমইএর সহযোগিতা চায় জাপান
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্বমূলক চুক্তি (ইপিএ) ত্বরান্বিত করতে বিকেএমইএ নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছে জাপান। এ লক্ষ্যে বিকেএমইএর ঢাকা কার্যালয়ে নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে জাপান সরকারের ইপিএ সংক্রান্ত প্রতিনিধিদল।
বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান এই দ্বিাপাক্ষিক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি অমল পোদ্দার, সহ-সভাপতি মো. শামসুজ্জামান ও পরিচালক রাকিব সোবহান মিয়া।
জাপান সরকারের ইপিএ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন জাপান ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল কোবাইশি ইরুজু। সঙ্গে ছিলেন জাপানের মিনিস্ট্রি অব ইকনোমি, ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ইয়োদা গাকু, ইকনোমিক পার্টনারশিপ ডিভিশনের অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর হায়াশি জেন্ডা, অফিস অব ইকনোমিক পার্টনারশিপের ডিরেক্টর কাগাওয়া সাতোকো এবং ঢাকার জাপান দূতাবাসের হেড অব ইকোনোমিক সেকশন মোচিদা ইউতারো।
- আরও পড়ুন
টোকিওতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলো বেপজা
বছরে ৯৬০ কোটি টাকা সুদ দিতে হয়, চলছে না আইসিবি: আবু আহমেদ
জাপানি প্রতিনিধিরা বলেন, প্রচুর চাহিদা এবং পরিবেশবান্ধব হওয়া সত্ত্বেও জাপানের তৈরি নতুন অটোমোবাইল বাংলাদেশের বাজারে অপ্রতুল। কারণ এখানে নতুন গাড়ির শুল্কহার অত্যন্ত বেশি। বিভিন্ন ধরনের শুল্ক মিলে ২০০ থেকে ৪০০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এছাড়া দেশ দুটির মধ্যে ইপিএ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে ভবিষ্যতে রপ্তানি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ইপিএ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে বিকেএমইএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তারা।
আলোচনায় বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত এ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপানের অবদান অনস্বীকার্য। ইপিএ বাস্তবানের জন্য জাপানি প্রতিনিধিদের অনুরোধের কথা, বিশেষ করে অটোমোবাইল খাতের কথা বাণিজ্য মনন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে বিকেএমইএ পৌঁছে দেবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তৈরিপোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বর্তমানে জাপানে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পর ৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ হবে। তবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে জাপান। এ জন্য জাপান সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
ভবিষ্যতে ইপিএর আওতায় জাপানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা বজায় রাখার জন্য সরকারি পর্যায়ে অনুরোধের ব্যাপারে ইপিএ প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান ফজলে শামীম এহসান।
কেএসআর/জেআইএম