অর্থ উপদেষ্টা
দাম একটু বেশি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিন বেশি
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জি-টু-জি পদ্ধতিতে দুই লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৮১৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকা।
বুধবার (২৩ জুলাই) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর যুক্তি হচ্ছে, আমরা একটু ডাইভার্সিফাই করতে চাচ্ছি। অনেক সময় রাশিয়ান ব্লক কিংবা ইউক্রেন ব্লকে একটা অনিশ্চয়তা দেখা গেছে।
‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখন আমাদের আমদানি বাড়ানোর নেগোশিয়েশন চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের গমের মান ভালো’- যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম তুলনামূলক বেশি কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দাম একটু বেশি হলেও আমরা অন্যদিকে দিয়ে সুবিধা পাবো। যুক্তরাষ্ট্রের গমের প্রোটিনও কিছুটা বেশি। প্রোটিন খুব বেশি তা নয়, তবে একটু বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৮১৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকা ব্যয়ে দুই লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম পড়বে ৩০২ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক দেশটি ‘হয়তো কিছু কমাবে’ বলে আশা প্রকাশ করেন ড. সালেহউদ্দিন।
এমএএস/এমকেআর/এমএস