আগস্টে রপ্তানি আয়ে ধীরগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪১ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) মোট ৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করেছে বাংলাদেশ। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে আগস্ট মাসের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। ওই মাসে রপ্তানি আয় দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৪ সালের আগস্টের তুলনায় ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম। গত বছরের একই মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্লেষকদের মতে, অর্থবছরের শুরুটা ইতিবাচক হলেও আগস্টে এই ধীরগতি বৈশ্বিক বাজারের চাহিদার ওঠানামা ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তাকে ইঙ্গিত করছে। তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা এবং বাজার বৈচিত্র্যকরণের সীমাবদ্ধতাও এ ধীরগতির পেছনে ভূমিকা রাখছে।

সামগ্রিকভাবে রপ্তানি খাত স্থিতিশীলতা ধরে রাখলেও আগস্টের ধাক্কা ভবিষ্যৎ মাসগুলোতে সতর্ক থাকার বার্তা দিচ্ছে। নীতিনির্ধারক ও

রপ্তানিকারকদের মতে, নতুন বাজার অনুসন্ধান, পণ্যের বৈচিত্র্য এবং লজিস্টিক দক্ষতা বাড়ানো ছাড়া এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হবে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে ৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের ৬ দশমিক ৫ বিলিয়নের চেয়ে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে নিট পোশাক খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ওভেন খাতে আয় হয়েছে ৩ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৮ শতাংশ।

তবে আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হ্রাস। ওই মাসে নিট পোশাক খাত থেকে এসেছে ১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং ওভেন খাত থেকে এসেছে ১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জাগো নিউজকে বলেন, এখনই আগস্ট মাসের রপ্তানি হ্রাসের কারণ নিয়ে সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করা ঠিক হবে না।কারণ এ নিয়ে দেশভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ তথ্য বিশ্লেষণ প্রয়োজন। তবে ধারণা করা যায়, আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা শুল্ক সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার কারণে কিছু চালান স্থগিত রেখেছিলেন, যার প্রভাব হিসেবে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। যদিও বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়, তথ্য বিশ্লেষণের পর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে। আশা করা যায়, শুল্কসংক্রান্ত জটিলতা সমাধান হওয়ায় আগামী মাসগুলোতে এ ধরনের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি আর চলবে না।

আইএইচও/এমএমএআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।