অবলুপ্তির ৪৭ বছর পর মহালক্ষ্মী ব্যাংকের সম্পদ নিলামে

ইকবাল হোসেন
ইকবাল হোসেন ইকবাল হোসেন , নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে থাকা বিলুপ্ত মহালক্ষ্মী ব্যাংকের সম্পদ নিলামে ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, ছবি: জাগো নিউজ

উচ্চ আদালতের আদেশে ১৯৭৮ সালে অবলুপ্ত হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যাংকটি
চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে লুপ্ত ব্যাংকটির অনেক সম্পদের মালিক এখন বাংলাদেশ ব্যাংক
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ধর্মপুর মৌজার ৮৩ শতক জমির নিলাম ৬ জানুয়ারি

অবলুপ্তির প্রায় ৪৭ বছর পর চট্টগ্রামের মহালক্ষ্মী ব্যাংকের সম্পদ নিলামে তুলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের তেমন ধারণা না থাকলেও সম্পদ নিলামের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে ব্রিটিশ আমলে গঠিত ব্যাংকটি। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর মৌজায় মহালক্ষ্মী ব্যাংকের মালিকানাধীন ৮৩ শতাংশ জমির নিলাম আগামী ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখায় অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রামভিত্তিক মহালক্ষ্মী ব্যাংকটি গঠিত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। ১৯০৫-০৬ সালের দিকে ব্যাংকটি গঠিত হয়। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকেন্দ্রিক ব্যাংকটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরে ১৯৫৯ সালে ব্যাংকটির অবসায়ন হয়। ১৯৭৮ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্টের আদেশে ব্যাংকটি পুরোপুরি অবলুপ্ত হয়। তবে ব্যাংকটির অনেক সহায়-সম্পদ রয়েছে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ধর্মপুর ও কক্সবাজারে অনেক জমিজমা রয়েছে মহালক্ষ্মী ব্যাংকের। এরমধ্যে সাতকানিয়ার ধর্মপুর মৌজার ৮৩ শতাংশ জমি নিলামে ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

পাশাপাশি ব্যাংকটির নিবন্ধন, ঋণ ও বন্ধক (মর্টগেজ) সংক্রান্ত বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের কয়েকটি মামলার রেফারেন্স পাওয়া যায়। এরমধ্যে চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকায়ও মহালক্ষ্মী ব্যাংকের সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা টেরিবাজারে মহালক্ষ্মী ব্যাংকের শাখা ছিল। পরে শাখাটি আন্দরকিল্লায় স্থানান্তর হয়। এখন ব্যাংকটির কার্যক্রম নেই। মূলত টেরিবাজার ও হাজারিগলি ছিলো চট্টগ্রামের আদি ব্যবসায়ীদের বিচরণক্ষেত্র। বিশেষ করে হাজারিগলিতে স্বর্ণবণিক এবং টেরিবাজারে কাপড়ের ব্যবসা ছিল। অনেক ব্যবসায়ীর হিসাব ছিল মহালক্ষ্মী ব্যাংকে।

অবলুপ্তির ৪৭ বছর পর মহালক্ষ্মী ব্যাংকের সম্পদ নিলামে

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে বিলুপ্ত মহালক্ষ্মী ব্যাংকের দখলীয় সম্পত্তি দেখাচ্ছেন প্রভাত দেব, ছবি: জাগো নিউজ

বোয়ালখালীর বাসিন্দা সুকুমার চৌধুরী। তার পূর্ব পুরুষরা জমিদার ছিলেন। শিক্ষক বাবার সন্তান সুকুমার চৌধুরী পুরোনো ঘড়ি মেরামত করেন। পুরোনো মডেলের ঘড়ি মেরামতে সুকুমার চৌধুরীর খ্যাতি রয়েছে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আন্দরকিল্লা মহালক্ষ্মী ব্যাংকে আমার বাবার একটি হিসাব ছিলো। দেশ স্বাধীনের পরেও মহালক্ষ্মী ব্যাংকের কার্যক্রম ছিল। পরে এটি বন্ধ হয়ে যায়।’

চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা এলাকায় ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয় আরবান সোসাইটি। ১৯৯০ সালে দি চিটাগাং আরবার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধন পায় সংগঠনটি।

দি চিটাগাং আরবার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিবেকানন্দ আচার্য্য জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি ৭০ বছর ধরে আন্দরকিল্লা এলাকায় রয়েছি। এখানে পাকিস্তান পরবর্তী সময়েও মহালক্ষ্মী ব্যাংকের কার্যক্রম ছিলো, কিন্তু এখন নেই। টেরিবাজারে ব্যাংকটির শাখা ছিলো। অনেক ব্যবসায়ীদের অ্যাকাউন্ট ছিলো মহালক্ষ্মী ব্যাংকে।’

আরও পড়ুন
ব্যাংকখাত ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল করা হয়েছে: ড. ফাহমিদা
এস আলমকে নিয়ে গভর্নর বললেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’
পুকুরে মিললো ব্যাংকের চুরি হওয়া ভল্ট
অর্ধেকের বেশি খেলাপি ঋণ ১৭ ব্যাংকে, ছয়টির অবস্থা ভয়াবহ

বাংলাদেশ ব্যাংক মহালক্ষ্মী ব্যাংকের যে জমিগুলো নিলাম ডেকেছে সেগুলো চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্কেলের অধীনে। সাতকানিয়া সার্কেলের বিএস (বাংলাদেশ সার্ভে) জরিপ অনুসারে জায়গাগুলো ধর্মপুর মৌজায় অবস্থিত। ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিএস খতিয়ানে জমিগুলোর মালিক হিসেবে ‘মহালক্ষ্মী ব্যাংক লিমিটেড, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম’ হিসেবে খতিয়ানভুক্ত ছিলো।

সাতকানিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. আবুল কাশেম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ধর্মপুর মৌজায় মহালক্ষ্মী ব্যাংকের নামে বিএস জরিপের ১৮৮৯ নম্বর খতিয়ানে ১৩টি পৃথক দাগে ১ একর ১৬ শতক জমি রয়েছে। কিছু ভিটা, কিছু পুকুর পাড়, কিছু খাই, কিছু নাল জমি রয়েছে। দুই দাগে ১২ শতক শ্মাশানও রয়েছে। এখানে স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বীদের সৎকার করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জায়গাগুলোর নামজারির আবেদন করা হয়। আবেদনটি পেয়ে আমি সরেজমিনে জায়গাগুলো সার্ভে করেছি। খুঁটি দিয়ে এসেছি। এরপর শ্মশানের জায়গাগুলো বাদে ১০৪ শতক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে নতুন খতিয়ানে নামজারি করা হয়েছে।’

১০৪ শতক জমি নামজারি হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ৮৩ শতক জমি নিলামে ডেকেছে।

অবলুপ্তির ৪৭ বছর পর মহালক্ষ্মী ব্যাংকের সম্পদ নিলামে

সরেজমিনে নিলামে ওঠা সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা জায়গা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিলামের জমিগুলো বিভিন্ন ব্যক্তির ভোগদখল রয়েছে। নিলামে ওঠা ১৭ শতক ভিটা অংশটি ধর্মপুর ইউনিয়নের চাঁদের পাড়া এলাকায়। জায়গাটি দখলে রয়েছেন প্রভাব দেব নামের এক যুবক। ভিটা শ্রেণির ওই জমির লাগোয়া প্রভাত দেবের বসতঘর।

আরও পড়ুন
নিট মুনাফা ছাড়া উৎসাহ বোনাস নয়: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র: গভর্নর
অর্থপাচার: দেশে-বিদেশে ৬৬১৪৬ কোটি টাকার সম্পদ সংযুক্ত-অবরুদ্ধ
লুকিয়ে রাখা টাকা ব্যাংকে ফেরায় কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বাড়ছে

প্রভাব দেব জাগো নিউজকে বলেন, ‘এসব জায়গা আরও ৯০ থেকে ১০০ বছর আগের। আমার ঠাকুরদা থেকে আবার বাবা ভোগ করেছেন। এখানে বিশ্বাস জমিদারের অনেক জমি রয়েছে। ধর্মপুর ইউনিয়নে যার নামে বিশ্বাসের হাট রয়েছে। আশেপাশের অনেক পুকুর, নাল, ভিটাও বিশ্বাস জমিদারের। আমাদের জন্মের আগে থেকেই এসব জায়গার কেউ খোঁজ নেয় না। নিজেদের পাশের এসব জমি আশেপাশের লোকজন ভোগ দখল ও ব্যবহার করছেন। এসব জমি ব্রিটিশ আমলের। আবার অনেক জায়গা রাস্তা হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক জমিগুলো নিলামে ডেকেছে, আমি পত্রিকায় বিষয়টি দেখেছি। এখন ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আমার বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছেন। ব্যাংক নিলামে ডাকায় আমার মাথার ওপর বড় ধরনের বোঝা এসে পড়েছে।’

আরেক দাগে এক শতক জমি খতিয়ানে নাল হিসেবে চিহ্নিত। এটি ভোগ করছেন চাঁদের পাড়া এলাকার জহির আহমদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বাপ-দাদার জমির পাশে মহালক্ষ্মী ব্যাংকের বলে শুনেছি। কয়েকদিন আগে এসে ভূমি অফিসের লোকজন মাপঝোপ করেছে। ওই সময়ের সরু জায়গাটি এখন রাস্তা হয়ে গেছে। রাস্তায় ওই জায়গাটি বাদেও আমাদের জায়গাও ঢুকেছে।’

নিলাম ডাককারী বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক জাহিদ হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘১৯০৫-১৯০৬ সালের দিকে মহালক্ষ্মী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটির কার্যক্রম চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারভিত্তিক ছিলো। ১৯৫৯ সালে ব্যাংকটির অবসায়ন হয়। এরপর ব্যাংকটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে কিছু জায়গা-জমি রয়েছে। যেগুলো এখনো সেটেলমেন্ট হয়নি। কক্সবাজারেও ১০-১২ একরের মতো জায়গা রয়েছে। এগুলো ফসলি জমি। চট্টগ্রামের অনেকস্থানে মহালক্ষ্মীব্যাংকের জায়গা-জমি রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে ১০৪ শতক জমির নামজারি হয়েছে। এরমধ্যে ৮৩ শতক জমির নিলাম আহ্বান করা হয়। অবশিষ্ট ২১ শতক জমির মধ্যে একটি দাগে ১২ শতক ১৯৯৬ সালে এক ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কিনে নেয়। তাছাড়া আরেকটি দাগে ৯ শতক জায়গা বর্তমানে চলাচলের রাস্তা হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন
এসএমই খাতে ঋণ কমছে, সর্বোচ্চ সীমা বাড়ালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বিমা খাতের সম্পদ ৫৮ হাজার কোটি টাকা, বিনিয়োগ ৪০ হাজার কোটি
মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা ও বৈষম্যের দুষ্টচক্রে অর্থনীতি
লুটপাট হলে দায় ওই ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিতে হবে: গভর্নর

মহালক্ষ্মী ব্যাংকের কয়েকটি পুরোনো মামলার নজির

১৯৮৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ প্ল্যান্টার্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড বনাম মহালক্ষ্মী ব্যাংক লিমিটেড (অবসায়িত) এবং অন্যান্য মামলার রায় দেন। ওই সময়ে প্রধান বিচারপতি এফকেএমএ মুনিমের নেতৃত্বে অপর তিন সদস্য বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মাসুদ, বিচারপতি সৈয়দ মো. মহসেন আলী সমন্বয়ে গঠিত ফুল বেঞ্চ রায়টি দেন। আপিলকারীর পক্ষে প্রয়াত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এবং বিবাদী পক্ষে লড়েন আরেক প্রয়াত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিকুল হক।

অবলুপ্তির ৪৭ বছর পর মহালক্ষ্মী ব্যাংকের সম্পদ নিলামে

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে বিলুপ্ত মহালক্ষ্মী ব্যাংকের দখলীয় সম্পত্তি দেখাচ্ছেন প্রভাত দেব, ছবি: জাগো নিউজ

মূলত মহালক্ষ্মী ব্যাংক লিমিটেড ছিল চট্টগ্রামভিত্তিক দেশীয় ব্যাংক। ব্যাংকটি তৎকালীন বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ঋণ দিত। কিন্তু আর্থিক অনিয়ম, ঋণ খেলাপি এবং ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে ব্যাংকটি ধীরে ধীরে লোকসানে পড়ে। একপর্যায়ে ব্যাংকটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং আদালতের আদেশে এটি অবসায়ন প্রক্রিয়ার আওতায় আসে।

অন্যদিকে প্ল্যান্টার্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড ছিল একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। তাদের সঙ্গে মহালক্ষ্মী ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন ও বন্ধকী সম্পত্তি সংক্রান্ত সম্পর্ক ছিল। এই রায়ের মাধ্যমে তৎকালীন বাংলার ব্যাংকিং আইন ও লিকুইডেশন প্রক্রিয়ায় একটি স্পষ্ট দিকনির্দেশনা তৈরি হয়। মামলাটি ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ব্যাংকিং আইন, সম্পত্তির মালিকানা ও লিকুইডেশন প্রক্রিয়ায় একটি দৃষ্টান্তমূলক মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

একইভাবে ১৯৪২ সালে কোলকাতা হাইকোর্টে সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে একটি আপিল মামলা পাওয়া যায়। ১৯৩৮ সালে জমির মালিকানা নিয়ে মহালক্ষ্মী ব্যাংক লিমিটেড চট্টগ্রাম বনাম প্রভিন্স অব বেঙ্গল মামলাটি হয়। ১৯৪২ সালের ৬ জানুয়ারি কোলকাতা হাইকোর্ট মামলাটি খারিজ করে দেন। এটিও একটি আলোচিত মামলা।

অন্যদিকে ১৯৬০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মহালক্ষ্মী ব্যাংক চট্টগ্রাম নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় পাওয়া যায়। ব্যাংকিং কোম্পানির কাঠামো পরিবর্তনের আইনি দিক নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয় রায়ে। মামলাটি ছিল মহালক্ষ্মী ব্যাংক লিমিটেড চট্টগ্রাম বনাম কোম্পানিজ রেজিস্ট্রার পশ্চিমবঙ্গ।

এমডিআইএইচ/এমএমএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।