করোনা : ২০২১ সালেও সারছে না পর্যটন খাতের ক্ষত

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২০

অডিও শুনুন

মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে পর্যটন খাত। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিশ্ব পর্যটক আগমনের সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমে গেছে বলে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ডব্লিউটিও) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে ডব্লিউটিও।

মাদ্রিদভিত্তিক জাতিসংঘের এই অঙ্গ-সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনার কারণে বাধানিষেধ আরোপের ফলে গ্রীষ্মে (পর্যটনের সবচেয়ে বড় মৌসুম) উত্তর গোলার্ধে পর্যটকদের আগমনের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমেছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে ৮১ শতাংশ ও আগস্টে ৭৯ শতাংশ কমে যায় পর্যটক।

এতে আরও বলা হয়, গত বছরের তুলনায় জানুয়ারি থেকে আগস্ট-এই আট মাসে পর্যটক কমেছে ৭০০ মিলিয়নের বেশি। এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৭৩০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০০৯ সালে আর্থিক মন্দার তুলনায় আটগুণ বেশি।

বিবৃতিতে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রধান জুরাব পলোলিকাশভিলি বলেছেন, ‘(পর্যটন খাতে) অকল্পনীয় এই পতনের ফলে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নাটকীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে এই খাত।’

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রথম আঘাত হানে মহামারি করোনাভাইরাস। এতে এর মারাত্মক ফলও পড়েছে পর্যটন খাতে। ৭৯ শতাংশ পর্যটকদের আগমন কমেছে এই অঞ্চলে।

একই সময়ে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে পর্যটক কমেছে ৬৯ শতাংশ। যেখানে ইউরোপে ৬৮ শতাংশ ও আমেরিকায় ৬৫ শতাংশ কমে যায় পর্যটক।

ডব্লিউটিও বলছে, ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমন সংখ্যা সার্বিকভাবে ৭০ শতাংশ কমে যাবে এবং এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

তবে প্রতি পাঁচজনে একজন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, করোনায় বিশ্ব পর্যটন খাতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা কেবল ২০২২ সালেই সম্ভব।

ডব্লিউটিও বলছে, চলতি বছর ব্যবসায় মন্দা গেলেও ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের সংখ্যা চার শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় দেড় বিলিয়নে। এ সময় মানুষ সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করে ফ্রান্স। এরপর সবচেয়ে বেশি ভ্রমণের তালিকায় ছিল স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম।

সূত্র : এএফপি

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।