কোভিড টেস্টের ফি দেয়া যাচ্ছে একমাত্র ‘নগদ’-এ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে কাগুজে নোটের ব্যবহার না করে শুধুমাত্র মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে টেস্ট ফি দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের সঙ্কটকালে মানুষের পাশে থাকতে ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-ই একমাত্র এই সেবাটি দিচ্ছে।
নগদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রক্রিয়ায় দেশের সবচেয়ে কম খরচে কোভিড-১৯ টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত বছরের আগস্ট মাসের শুরু থেকে সেবাটি দিয়ে আসছে নগদ। এর আওতায় ‘নগদ বিল পে’-এর মাধ্যমে মাত্র ১০০ টাকা ফি দিয়ে টেস্ট সেন্টারে গিয়ে কোভিড-১৯ টেস্ট করানো যাচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফি দেয়া যাচ্ছে।
এছাড়া বিদেশগামী যাত্রীরা মাত্র ১,৫০০ টাকায় টেস্ট সেন্টারে গিয়ে কোভিডের টেস্ট করাতে পারছেন। দুই ক্ষেত্রেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক শতাংশ চার্জ দিতে হয়। এছাড়া জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) স্মার্ট কার্ডধারী বিদেশগামী যাত্রীদের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা ফি ৩০০ টাকা, এক্ষেত্রেও এক শতাংশ চার্জ প্রযোজ্য।
এই সেবা সম্পর্কে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, শুরু থেকেই ‘নগদ’ সরকারের পাশে থেকে কোভিড মহামারি মোকাবিলার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সেবামূলক এই কাজটির সঙ্গে যুক্ত থাকাও সেই প্রক্রিয়ারই অংশ বলে মনে করেন তিনি।
‘আমরা সব সময়ই দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করছি। আর সে কারণে শুধু আমরাই এখনও পর্যন্ত এই সেবাটি চালু করেছি। যেহেতু নগদ বিশ্বাস করে, মানুষ বাঁচালে দেশ বাঁচবে। সে কারণে দেশ ও দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে কোনোরকম স্পর্শবিহীন লেনদেনের মাধ্যমে কোভিড টেস্টের ফি প্রদানের এই কাজে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি আমরা। নগদ-এর মাধ্যমে কোভিড টেস্টের ফি প্রদান করায় মানুষ কিছুটা হলেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পেরেছে। একই সঙ্গে কাগুজে টাকার মাধ্যমে ভাইরাস ছাড়ানোও নিয়ন্ত্রণ করা গেছে,’ বলেন মিশুক।
ইএআর/এসএস/জিকেএস